উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে বুধবারই শমীক ভট্টাচার্যকে (BJP state president Shamik Bhattacharya) বেছে নিয়েছে পদ্মশিবির। বৃহস্পতবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা্র পাশাপাশি সংবর্ধনা দেওয়া হল শমীককে। কিন্তু নবনির্বাচিত রাজ্য বিজেপি সভাপতির অনুষ্ঠানে ফের ব্রাত্য প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এদিন দুপুর ২.১৩ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেব সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (BJP Leader Shuvendu Adhikari), প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (MP Sukanta Majumdar) পাশাপাশি আরও একাধিক বঙ্গ বিজেপি নেতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। শুধু ছিলেন না দিলীপ।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন সন্ধ্যেবেলায় সস্ত্রীক সেখানে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মন্দির দর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে খোশ গল্প করতে দেখা যায় প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। এই ঘটনায় পর ৬ মে রাজ্য বিজেপির প্রথম বড় বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতাকে ডাকা হলেও সেখানে ডাক পাননি দিলীপ। পরের দিন বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে একটি হোটেলে ফের বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা। সেখানে রাজ্য পদাধিকারী এবং জেলা সভাপতিদের ডাকা হলেও দেখা যায়নি দিলীপকে। এসবের পর দিলীপের যুক্তি ছিল, ‘আমি যেহেতু কোনও পদে নেই, তাই দলের তরফে ডাকা হয়নি।’ কিন্তু দলের অন্য একটি অংশের যুক্তি, পদাধিকারী না হলেও দিলীপ রাজ্য কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সভাপতি। সুতরাং তাঁকে ডাকা যেতেই পারে। ৩০ এপ্রিলের পর থেকে শুধু বৈঠকই নয়, বঙ্গ বিজেপির নানান জনসংযোগ কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না দিলীপকে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দিলীপকে আপাতত সেসব কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো নবনির্বাচিত রাজ্য বিজেপি সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা যাবে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চে বঙ্গ বিজেপির নেতারা থাকলেও নেই দিলীপ! কেন তাঁকে ডাকা হল না? তাঁর জবাবে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, ‘এই অনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না, কারণ, আমাকে আলাদা করে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। আমি সভাপতি নির্বাচনের ভোটার নই। যাঁরা প্রদেশ পরিষদ সদস্য, তাঁরাই ভোটার। আজকের অনুষ্ঠানেও তাঁদেরই ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েক জন ডাক পেয়েছেন। আমার ওখানে যাওয়ার কথা নয়।’ গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির। তবে গেরুয়া শিবিরের এহেন আচরণ থেকে স্পষ্ট দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁদের ইচ্ছেতেই কার্যত কোণঠাসা দাপুটে বিজেপি নেতা।