উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চাষের জন্য নেওয়া ঋণের টাকা শোধ করতে হচ্ছে তাই এই মুহূর্তে ফোন কেনার টাকা দিতে পারবেন না। কিশোর ছেলে মোবাইল ফোনের আবদার করায় এমনটাই জানিয়েছিলেন কৃষক বাবা। সেই অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সেই কিশোর। আর ছেলের এই মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে একই দড়িতে ঝুলে নিজেও আত্মঘাতী হন সেই পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে।
সূত্রের খবর, স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই বাবার কাছে আবদার করছিল ওই কিশোর। বুধবার সন্ধ্যাতেও এই নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে কথা হয়। কিন্তু ঋণের টাকা শোধ করতে হচ্ছে,তাই এই মুহূর্তে এই টাকা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন কিশোরের বাবা।
এরপরেই ওই কিশোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় তাঁর বাবা মা ভেবেছিলেন হয়তো খামারবাড়িতে শুয়ে রয়েছে সে। কিন্তু সকাল হয়ে যাওয়ার পরেও যখন তাঁর দেখা পাওয়া যায় না,তখন তাঁরা খামার বাড়িতে খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন গাছ থেকে ঝুলছে ওই কিশোরের দেহ। আর এই দৃশ্য দেখেই পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েন কিশোরটির বাবা। দেহটি গাছ থেকে নামিয়ে নিয়ে যখন সবাই সেই কিশোরটিকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে সকলের অগোচরে সেই গাছে ঝোলানো দড়ি দিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন মৃত কিশোরের বাবা। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে।