দিনহাটা: জমিটির মালিক স্কুল শিক্ষা দপ্তর। অথচ তাদেরই অন্ধকারে রেখে স্কুলের জমি নিলামে তোলা হল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। তারপর পাঁচ বছরের জন্য লিজে দেওয়া হল এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তি নাকি সেখানে কৃষিকাজ করবেন। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) মৃণালকান্তি রায় জানালেন, তিনি বিষয়টি জানেনই না। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা-১ ব্লকের কামতা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে, স্কুলটির গ্রামশিক্ষা কমিটি এভাবে শিক্ষা দপ্তরকে না জানিয়ে কি স্কুলের জমি নিলামে তুলতে পারে?
ওই ব্লকের গোসানিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরকামতা গ্রামে অবস্থিত রয়েছে স্কুলটি। সেই স্কুল চত্বরে একটি জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বুধবার বিদ্যালয়ের গ্রামশিক্ষা কমিটি একটি বৈঠক ডাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ফুলকুমার বর্মন। মিটিং রেজোলিউশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারজন ওই নিলামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় শিবেন রায়কে ৪৭ হাজার ৭০০ টাকায় পাঁচ বছরের জন্য জমিটি লিজে দেওয়া হয়। পরিচালন সমিতি বৈঠক করে সরকারি সম্পত্তি নিলামে তুলে দিলেও বিষয় সম্পর্কে অবগত নন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। তাঁর কথায়, ‘স্কুলের জমি লিজে দেওয়ার বিষয়টি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
অন্যদিকে, গ্রামশিক্ষা কমিটি নিজের দায়িত্বে সরকারি বিদ্যালয়ের জমি লিজে দিলেও তা যে শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়া দেওয়া যায় না, সেটা নাকি জানেন না কমিটির সভাপতি ফুলকুমার বর্মন। তাঁর কথায়, ‘গতবছরও এভাবে জমি লিজে দেওয়া হয়েছিল প্রতিবেশীদের কাজের জন্য। সেই কারণে আমিও একইভাবে জমি দিয়েছি। তবে শিক্ষা দপ্তরের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
অন্যদিকে, জমি এভাবে লিজে দেওয়া হলেও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকও গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিকাশেন্দুকুমার রায় বললেন, ‘গ্রামশিক্ষা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাই হয়েছে।’ বিষয়টি জানেন না গোসানিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফারহান রব্বানিও। তাঁর কথায়, ‘বৈঠক সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তাই আমি কিছু বলতে পারব না।’