গাজোল: কয়েকদিন ধরে দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে চলছিল বিরোধ। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ছোটখাটো হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এদিন বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলের টোটো শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা জড়িয়ে পড়লো বড় ধরনের মারামারিতে। ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আধা সামরিক বাহিনী এবং গাজোল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুই একদিনের মধ্যে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এদিন দুপুরে কদুবাড়ি মোড় এলাকায় বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আত্ম বলিদান দিবস উপলক্ষে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরেই বিজেপির শ্রমিক সংগঠনভুক্ত এক টোটো চালককে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা মারধর করে। এরপরই তৈরি হয় উত্তেজনাময় পরিস্থিতি। এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে দুই সংগঠনের সদস্যরা। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সদস্য টোটো চালক সঞ্জীব বিশ্বাস অভিযোগ করেন ‘কদুবাড়ি মোড় এলাকা থেকে যাত্রী তোলার সময় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে ব্যাপক হারে মারধর করেছে।’ যদিও আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা লক্ষ্য করছি বিজেপির ইউনিয়ন একটা গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করছে।” তাঁর বক্তব্য, শ্রমিক সংগঠন আলাদা থাকতেই পারে কিন্তু চেইন হবে একটাই। চেইন অনুযায়ী সমস্ত টোটোকে চলাচল করতে হবে। কিন্তু বিজেপির যারা সদস্য সেই সমস্ত টোটো চালক সকলেই বাইরের। তারা কোন নিয়ম-কানুন মানতে চাইছে না। এই নিয়ে গন্ডগোল বেঁধেছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে দু-একদিনের মধ্যেই সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে বিজেপির টোটো ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা প্রদ্যুৎ কুমার সরদার বলেন, ‘তৃণমূল চাইছে গাজোলে টোটোর অন্য কোন ইউনিয়ন থাকবে না। সবাইকে তৃণমূলের সংগঠনের সদস্য হতে হবে। এদিন কদুবাড়ি মরে আমাদের একটি কর্মসূচি নেওয়া ছিল। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু এদিন কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। প্রশাসনের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। আমাদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের চেইনে গাড়ি লাগাতে দিচ্ছে না। আমাদের এক সদস্যকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ করেছে আমাদের সদস্যরা। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে ২/১দিনের মধ্যে সকলকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের। সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের নামতে বাধ্য হব আমরা।’