উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দত্তপুকুরের ঘটনায় কেন নীরব মুখ্যমন্ত্রী, কেন এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি তিনি, এই নিয়েই বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ থেকে এসে রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না? আমরা আশা করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী এসে এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জানাবেন বিধানসভায়। উনি প্রথমার্ধে আসেননি। হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে আসবেন উৎসবে যোগ দিতে। আমরা এই নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর উচিত এই ঘটনার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’’
দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় রবিবার সকালে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নয় জনের। গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল বলেন এটি ‘ভয়াবহ’ এবং ‘নিছক দুর্ঘটনা নয়’। অন্য দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশসূত্র বলছে, এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, রাজ্যে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করলেও সশরীরে দত্তপুকুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি তিনি। এমনকি প্রকাশ্যে এ বিষয়ে একটিও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নীরবতা নিয়েই এদিন বিধানসভাতে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ বিষয়ে বিরোধীরা জবাব না পাওয়ায় বিধানসভায় মূলতবি প্রস্তাব আনেন। বিধানসভা মূলতবি হওয়ার পর বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এগরার পর হেলিকপ্টারে পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কথা দিয়েছিলেন, আর এমন ঘটনা বাংলায় ঘটবে না। আরও অনেক পদক্ষেপের ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এগরার পর তিন মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এর পরও একে একে বজবজ, মালদহের ঘটনা ঘটেছে। আর এ বার কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে দত্তপুকুরে হয়েছে বাজি কারখানা বিস্ফোরণ।’
অন্যদিকে আজ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বাজি কারখানার বিস্ফোরণের কথা বলতে গিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তো মানুষ মরছেন। রেল দুর্ঘটনায় ৩০০ জন মারা গেলেন। মিজোরাম, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে মানুষ মারা যাচ্ছেন। সেখানে তো কোনও দল পাঠানো হচ্ছে না।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির লোককে উপাচার্য করা হয়েছে। মেয়ো রোড থেকে বাজি শ্রমিকদের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ, সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ (JK encounter)। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ২…
জলপাইগুড়ি: সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলেই চমকে ওঠেন জলপাইগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব…
অনীক চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: সকালের টিফিন বা বিকেলে চায়ের সঙ্গে ফাস্ট ফুড এখন সবার পছন্দের। পিৎজা,…
শিলিগুড়ি ও কলকাতা: এবার বিদ্রোহ উত্তরের পাহাড়েও। সিকিমের শেয়ার ক্যাব নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে…
শীতলকুচি: রাজ্যে শিক্ষার হাল অত্যন্ত করুণ। গোলেনাওহাটি জামে হাই মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। দায়িত্ব হাতে নিয়েই…
This website uses cookies.