উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ৯ সেপ্টেম্বর। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার একমাস পূর্ণ হল। অধরা প্রকৃত দোষীরা। সারা রাজ্যের মানুষ বারবার পথে নামছেন বটে, কিন্তু সিবিআই সূত্রে কোনও সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের ওপর এদিনও একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। যার মধ্যে উঠে এসেছে আরজি কর হাসপাতালে সিআইএসএফের থাকার বিষয়। ‘আজ দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে’ রাজ্যকে কড়া নির্দেশ বিচারপতির।
শীর্ষ আদালতের সাফ নির্দেশ, ‘আজ দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে। রাজ্য সরকারের কোনও একজন সিনিয়র অফিসার সিআইএসএফ একাধিকারিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে এবং প্রয়োজনে খুবই কাছাকাছি সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। জওয়ানদের মধ্যে প্রচুর মহিলা আছেন, তাঁদের জন্য সুবন্দোবস্ত করে দিতে হবে।’
সলিটারি জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, ‘তিন কোম্পানি মহিলা সিআইএসএফ আছে, যাদের থাকার জায়গা নেই। দেড় ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘কোথায় থাকছেন তাঁরা? কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, ‘বেশিরভাগ সিআইএসএফ হাসপাতালেই থাকছেন। রাজ্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছে।’ সিব্বলের কথা শুনে মেহতা আরও অভিযোগ করেন, ‘জওয়ানদের আবশ্যিক কিছু নিরাপত্তা সামগ্রীও দেওয়া হয়নি।’ তখন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, ‘সিআইএসএফের জন্য যা যা প্রয়োজন, নিরাপত্তা সামগ্রী আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’