সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: ভুয়ো চেকের মাধ্যমে হারানো অর্থ অবশেষে ফিরে পেল বালুরঘাট পুরসভা। বালুরঘাট পুরসভাকে হারিয়ে যাওয়া ওই সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ফেরাল সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই টাকা জালিয়াতির ঘটনার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে দ্রুত ওই টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিল পুরসভা, সেই মোতাবেক ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হল ব্যাংকের তরফে। তবে ওই ঘটনায় থানায় যে মামলা হয়েছে, তার তদন্ত আজও চলছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বালুরঘাট পুরসভার কোনও কর্মী বা অন্য আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তার তদন্ত চলছে। তবে হারানো অর্থ ফেরত পেয়ে খুশি বালুরঘাট পুর কর্তৃপক্ষ।
গত ১২ ও ১৩ নভেম্বর তিন দফায় ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৮ টাকা গায়েব হয়ে যায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বালুরঘাট পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে। সরকারি প্রকল্পের টাকা ছিল ওই অ্যাকাউন্টে। আচমকা ওই টাকা গায়েবের ঘটনা নজরে আসতেই হইচই পড়ে যায় বালুরঘাট পুরসভায়। ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, পুরসভার ইস্যু করা তিনটি চেকের ভিত্তিতে ওই টাকা গিয়েছে মোঃ ইশাক খান নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। অথচ যে চেক নম্বরগুলি দিয়ে ওই টাকা লেনদেন হয়েছে, সেই চেকগুলি সহ চেক বইটি বালুরঘাট পুরসভাতেই মজুত রয়েছে। বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুরসভা। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, জাল চেকের মাধ্যমে মুচিপাড়া থানার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে তোলা হয়েছে। এরপরই মুচিপাড়া থানার পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গত সপ্তাহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘পুরসভার কাছে ওই চেকগুলি সুরক্ষিতভাবেই রাখা হয়েছিল। এরপরেও ওই চেক জালিয়াতি করে ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৮ টাকা তুলে নিয়েছিল প্রতারিতরা। এনিয়ে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত করছে। আমরা ব্যাংককেও এই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। ব্যাংক টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। ’ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ জানান, ‘এই মামলায় পুরসভা টাকা ফেরত পেয়েছে। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’