কিশনগঞ্জঃ বাড়ির পোষা কুকুরের সহায়তায় নিজের শিশুকন্যাকে খুঁজে পেলেন মা। তবে জীবিত অবস্থায় নয় শিশুটি উদ্ধার হয় মৃত অবস্থায়। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের আরারিয়া জেলার কুশিয়ারগাঁও গ্রাম। তিন বছরের এই শিশুকন্যাকে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে খুন করে গ্রামেরই এক ডোবার পাশে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। শনিবার শিশুটিকে দুষ্কৃতীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আরারিয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে তাঁর বাবা মা গিয়েছিলেন বিয়ের ভোজ খেতে। রাত ১২টার পর বাড়ি ফিরে এসে দেখেন উধাও তাদের শিশুকন্যাটি। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। রাতেই বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা বেরিয়ে পড়েন শিশুটির খোঁজে। রাত ভর নানান জায়গায় খুঁজে শিশুটিকে না পেয়ে আজ সকালেই পরিবারের লোকেরা দ্বারস্থ হন আরারিয়া থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে আসেন শিশুটির বাড়ি আরারিয়া জেলার কুশিয়ারগাঁও গ্রামে। এরপরই শিশুটিকে উদ্ধারে নাটকীয় মোর নেয়।
এই গ্রামের বাসিন্দা পবন ঋষিদেব জানান, সবাই যখন শিশুটিকে এদিক ওদিক সর্বত্র খুঁজতে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময়ই বাড়ির পোষা কুকুর নিখোঁজ মেয়েটির মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে টানতে টানতে ডোবার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মাটির একটি ঢিপি লক্ষ্য করেন প্রত্যেকেই। এতেই সন্দেহ বেড়ে যায় সবার। পুলিশের সামনেই প্রতিবেশিরা মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে শিশুটির হাত। উদ্ধার হয় শিশুটির ক্ষত বিক্ষত দেহ। শিশুটির গলায় কালশিটে দাগ ছিল। ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে শিশুটির সারা শরীর। এমনকি শিশুটির গোপনাঙ্গেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বাড়ি ফাঁকা থাকার কারণে শিশুটিকে তুলে গিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অপকর্মের পরে তারা গলাটিপে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে।
আরারিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাম পুকার সিং এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে আরারিয়া সদর হাসপাতালে। পূর্ণিয়া থেকে আনা হয়েছে এক বিশেষ ফরেন্সিক টিম। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।