শিলিগুড়ি: লিফট দেওয়ার নাম করে টাকা ছিনতাই! প্রায় ১১ হাজার টাকা নিয়ে পালাল ছিনতাইকারী। যদিও টাকা নিয়ে চম্পট দিলেও আত্মসাৎ আর করা হল না অভিযুক্তের। তার আগেই গুণধরকে ধরে ফেলল পুলিশ (Police)। গোটা ঘটনায় রীতিমত শোরগোল শিলিগুড়িতে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of North Bengal) ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ঝাঁ। বাড়ি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। পড়াশোনার তাগিদে প্রতিদিন জলপাইগুড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে আসতে হয়। চলতি মাসের ৫ তারিখ ক্লাস সেরে বাড়ি ফেরার জন্য মাঝরাস্তায় সে দাঁড়িয়ে ছিল। বাস না মেলায় এক স্কুটার চালক আচমকা তাঁকে এসে জিজ্ঞেস করে লিফট লাগবে কিনা? বাড়ি ফেরার তাড়া থাকায় সেও কিছু না ভেবে স্কুটার চালকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে স্কুটারে বসে পড়ে। এরপর কিছুদূর যেতেই মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। কারণ জিজ্ঞেস করতেই শুভ্রজ্যোতিকে একপ্রকার ভয় দেখাতে শুরু করে। সঙ্গে দাবি করা হয় মোটা টাকার। সেও ভয় পেয়ে ১০ হাজার ৭০০ টাকা তার হাতে তুলে দিতেই, সেখানেই শুভ্রজ্যোতিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। কোনওমতে জলপাইগুড়িতে ফিরে পরিবারকে গোটা ঘটনা জানাতেই চলতি মাসের ৮ তারিখ প্রধান নগর থানায় (Pradhan Nagar Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রজ্যোতি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে ছিনতাইকারীকে। ধৃতের নাম পিন্টু সাহা। তিনি ঝংকার মোড়ের বাসিন্দা। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করে ৮০০০ টাকা। বাকি টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে তদন্তে পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে মূলত ছিনতাই করার জন্যই সে স্কুটার ভাড়া নেয়। কাজ শেষ হলে স্কুটার মালিকের ভাড়ার টাকা মিটিয়েও দেয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সে ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরজুড়ে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। যাতে আগামীতে এধরনের ঘটনা না ঘটে।