গাজোল: ‘অ-আদিবাসীদের আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়া হলে মণিপুরের মতো এরাজ্যেও আগুন জ্বলবে, দ্বিতীয় মণিপুর হয়ে উঠবে বাংলা’, এমনই হুঁশিয়ারি দিল সেঙ্গেল অভিযান।
অ-আদিবাসীদের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত করা, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় এক শ্রেণির মোড়লের নির্দেশে শ’খানেক আদিবাসী পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে রাখা, বালুরঘাটে দণ্ডিকাণ্ডের প্রতিবাদ সহ একাধিক দাবিতে সোমবার বারো ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। তাদের ডাকা বনধে মিশ্র সাড়া মিলল গাজোলে।
এদিন সকালে বামনগোলা মোড় এবং বিশ মাইলে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আদিবাসীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বামনগোলা মোড় থেকে অবরোধ তুলতে সমর্থ হয় পুলিশ। কিন্তু বিশ মাইলে অবরোধ চলতেই থাকে। এখানে অবরোধ ওঠে প্রায় চার ঘণ্টা পর। অন্যদিকে, আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনাল সভাপতি মোহন হাঁসদার নেতৃত্বে আট মাইলে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। সেখানেও প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পরে অবরোধ ওঠে। দুপুরের মধ্যেই জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়।
সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনাল সভাপতি মোহন হাঁসদা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, ‘এই রাজ্যে অ-আদিবাসীদের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত করার জন্য একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে। এসব বন্ধ না হলে আদিবাসীরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকবেন না। মণিপুরের মতো এরাজ্যেও আগুন জ্বলবে। দ্বিতীয় মণিপুর হয়ে উঠবে বাংলা।’
মোহনবাবু আরও বলেন, ‘একাধিক দাবিতে এদিন আমরা বারো ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষ বনধ সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন। এরপরও রাজ্য সরকার যদি এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত না হয়, তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন আদিবাসীরা।’