দুবাই: স্টেডিয়ামের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার প্রাথমিক সময়সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ১২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিনটি স্টেডিয়াম তুলে দিতে হবে আইসিসি-র হাতে। যদিও নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও করাচির ন্যাশনাল, লাহোরের গদ্দাফি এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের সংস্কারের অর্ধেক কাজ এখনও শেষ হয়নি! ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে শেষ হবে, তা নিয়েও ঘোর সংশয়।
পাকিস্তানের স্টেডিয়াম সংস্কারের গয়ংগচ্ছ অগ্রগতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আইসিসিও। চলতি বছরে টি২০ বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট পরিকাঠামো নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়। মুখ পোড়ে সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থার। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও একই আশঙ্কা। ফলস্বরূপ, বিকল্প ভাবনায় ‘প্ল্যান বি’ হিসেবে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরানোর ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে আইসিসি-র অন্দরমহলে।
সূত্রের খবর, জয় শা-র নেতৃত্বাধীন আইসিসি কর্তারা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে রেখেছেন। বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে আরব আমিরশাহির কথা উঠছে। হাইব্রিড মডেলে ইতিমধ্যে ভারতের সমস্ত ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এমনকি ভারত যদি সেমিফাইনাল, ফাইনালে পৌঁছোয়, গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচও হাতছাড়া করবে পাকিস্তান।
শিরেসংক্রান্তি ঢিমেতালে চলা স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রক্রিয়া। আইসিসি-ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ‘হতাশাজনক ছবি। কনস্ট্রাকশনের কাজও এখন শেষ হয়নি। গ্যালারি থেকে ফ্লাডলাইট, কোনও কিছু প্রস্তুত নয়। এমনকি মাঠ তৈরির কাজ অনেক বাকি। পিসিবি যদি চূড়ান্ত সময়সীমা (স্টেডিয়াম হস্তান্তর) মিস করে, তাহলে অবশ্যই বিকল্প রাস্তা খোলা থাকবে। আধা-প্রস্তুত স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রাতারাতি কতটা উন্নতি ঘটে, সেটাই এখন দেখার।’
পাকিস্তান বোর্ড যদিও অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। দাবি, ১৯ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগেই একশো শতাংশ কাজ তারা শেষ করে তিনটি স্টেডিয়ামই আইসিসি-র হাতে তুলে দিতে সক্ষম হবে। পিসিবি সফলভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনে দায়বদ্ধ। আড়াইশোর ওপর শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করছে। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সংস্কারের সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।