আলিপুরদুয়ার: শীতের সকাল, হালকা রোদ আর প্লেটভর্তি কমলালেবু। শুনেই যেন মনটা জুরিয়ে যায়। ভুটানের কমলালেবুর স্বাদ অতুলনীয়, সেটারই অপেক্ষায় আলিপুরদুয়ারবাসী। তবে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে এক ট্রাক কমলালেবু আসে। অসমের শিলাপাথর লাগোয়া এলাকা থেকে এসেছে। কিন্তু বাজারে আসা শুরু হতেই ক্রেতারা ভুটানের কমলালেবু ভেবে কিনছেন। দেখতেও যে খুব একটা আলাদা তা নয়।
বাজারে কমলালেবু বিক্রির জন্য আসতেই তা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ভুটানের কমলালেবু আসতে এখনও বাকি আরও সাত থেকে দশদিন। তারপরেই ভুটানের কমলালেবু বাজারে ছেয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই বাজারে ভুটানের কমলালেবু বলে বিক্রি করছে অনেক ফল বিক্রেতা। যা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে দোনামোনা চলছে। অসমের শিলাপাথরের কমলালেবু দেখতে অবশ্য খুবই সুন্দর, চামড়াটা মোটা হয়। পাশাপাশি গন্ধ ও রস কম, মিষ্টিও কম। তবে, ভুটানের কমলালেবুর চামড়া পাতলা। সঙ্গে গন্ধ, রসও বেশি। আবার খেতেও খুব মিষ্টি। সুস্বাদু সেই কমলালেবু আসতেই দেদার বিক্রি হয়ে যায়।
বড়বাজারের এক পাইকারি ফল বিক্রেতা রবিকুমার দত্ত বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারের বাজারে এক ট্রাক কমলালেবু এসেছে। সেটা ভুটান বলে চালাচ্ছেন খুচরো বিক্রেতারা। আদৌ সেটা ভুটানের নয়। সেটা আসতে এখনও কয়েকদিন বাকি আছে। অসমের শিলাপাথর পাহাড়ি এলাকার কমলা সেটা। সাধারণ মানুষ জানতেও পারছেন না যে তঁারা কোন কমলালেবু খাচ্ছেন।’
আবার বড়বাজারের এক খুচরো ফল বিক্রেতা বাপি সাহা বলেন, ‘আমরা লোক ঠকাতে চাই না বলে ওই কমলালেবু রাখি না। নাগপুরেরটা রেখেছি। ভুটানের এলে সেটা রাখব। সেটার চাহিদা বেশ ভালো।’ শহরের বাসিন্দা অসীম সাহা এদিন কমলালেবু কিনে নিয়ে যান। বলেন, ‘আমরা ভুটানের কমলালেবু ভেবেই কিনছি। কিন্তু সেটা ভুটানের না। অন্য জায়গার। তা ক্রেতারা যেমন জানতে পারছে না। তেমনি বিক্রেতাদেরও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ ভুটানের কমলালেবু ভেবে অভিজিৎ সরকার, গৌরাঙ্গ সরকাররা কমলালেবু কিনেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সম্পাদক উত্তম ভৌমিকের কথায়, ‘বাজারে টাস্ক ফোর্স পাঠানো হবে।’