তপন: ছাত্রকে মারধর করেছেন প্রধান শিক্ষক। এমন অভিযোগ তুলে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। এই ঘটনায় এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তপন থানার কড়ই চেঁচড়া গ্রামে। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করতে হয় র্যাফ।
উল্লেখ্য,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের কড়ই চেঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩৬৫ জন। শিক্ষক,শিক্ষিকা রয়েছে ১৮ জন।অভিযোগ,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার দাস মাঝেমধ্যেই ছাত্রদের বেত দিয়ে মারধর করেন। জানা গিয়েছে,এদিন প্রধান শিক্ষক নবম শ্রেনীর ছাত্র রৌণক বসাককে মারধর করেন।টিফিনের বিরতিতে রৌণক বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তাঁর বাবাকে জানায়।ছেলেকে কেন মারা হয়েছে? সেটা জানতে এরপর স্কুলে আসেন ওই ছাত্রের বাবা পবিত্র বসাক। সেইসময় ওই অভিভাবক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে এই বিষয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকার অন্যান্য অভিভাবকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিও তোলা হয়। এই বিক্ষোভের জেরে টিফিনের পর বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পঠন পাঠন। খবর পেয়ে তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ান্নে লেপচার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। নামানো হয় র্যাফ। এরপর পুলিশের তৎপরতায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই বিষয়ে প্রহুত ছাত্রের বাবা পবিত্র বসাক অভিযোগ করে বলেন,‘মাঝেমধ্যেই প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে মারধর করে। শুধু আমার ছেলেকে নয়। অন্যান্য ছেলেদেরও মারধর করে। ভয়ে আমাদের গ্রামের অনেক ছেলে স্কুলে আসে না। ছেলের অপরাধ কি? কেন মারা হল? তা জানতে এদিন স্কুলে আসলে প্রধান শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসেন। আমরা প্রধান শিক্ষকের বদলি চাই।’