সিডনি: ব্যাট হাতে ক্রিজে মানে বিস্ফোরক শটের ফুলঝুরি।নতুন হোক বা পুরোনো বল-বাইশ গজে ঝড় তোলা বরাবর বাঁয়ে হাত কা খেল। বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলডেভিড ওয়ার্নারের সেই ‘বাঁয়ে হাত কা খেল’-এর অভাব টের পাচ্ছে। দাবি ইয়ান চ্যাপেলের। প্রাক্তনের যুক্তি, শুরুতে ওয়ার্নারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বাকিদের কাজ সহজ করে দিত। কিন্তু ওয়ার্নার অবসরনেওয়ার পর সেই দায়িত্বটা এখনও কেউ নিতে পারেনি।ইয়ান বলেছেন, ‘আমি এখনও অপেক্ষায় আছি, কখন একজন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বলবে, ডেভিডওয়ার্নারের দুঃসাহসী ক্রিকেট তারা মিস করছে। ওয়ার্নারের দ্রুতগতিতে রান তোলার দক্ষতাঅস্ট্রেলিয়ার বাকি টপ অর্ডার ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দিত। বাইশ গজে ওর দাপুটে উপস্থিতি এবং ছাপ রেখে যাওয়া, নিশ্চিতভাবেই যা মিস করছে বর্তমান দল।’ওয়ার্নার অবসর নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে সমস্যাঅব্যাহত। স্টিভেন স্মিথ বেশ কিছু টেস্টে ওপেন করলেও সুরাহা হয়নি। উলটে ব্যাটিং-কম্বিনেশন ঘেঁটে গিয়েছে। ওপেনিংয়ে টানা ব্যর্থতার জেরে স্মিথ এখন হারানো ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। পারথে নাথান ম্যাকসুইনি ওপেন করলেও দুই ইনিংসেই ব্যর্থ। চ্যাপেলের পরামর্শ, ওয়ার্নারের দায়িত্বটা টপ থ্রি-তে থাকা মার্নাস লাবুশেন, উসমান খোয়াজাদের নিতে হবে। নতুন বলে প্রতিপক্ষ বোলারদের মাথার ওপর চেপে বসতে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের রাস্তায় হাঁটতে হবে। কিন্তু সমস্যা, খোয়াজা-লাবুশেনদের সহজাত ব্যাটিং-স্টাইল ঠিক এর উলটো। দুজনেই রক্ষণাত্মক ব্যাটার। ইয়ানের আরও সতর্কবার্তা, পারথ টেস্টের পুনরাবৃত্তি যদি অ্যাডিলেডেও হয়, তাহলে ঘোর সংকটে পড়বে অস্ট্রেলিয়া। কাটাছেঁড়া চলবে ব্যাটিং নিয়ে। বড়সড়ো রদবদলও ঘটে যেতে পারে। ‘অস্ট্রেলিয়া যদি দ্বিতীয় টেস্টেও হারে, ব্যাটিং কিন্তু আতশকাচের নীচে থাকবে। তখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে প্রতিভার অভাবের বাস্তব চিত্র সামনে চলে আসবে। দল নির্বাচন হয়ে উঠবে মাথাব্যথার কারণ।’
মাইকেল ক্লার্ক আবার বিরাট কোহলিকে নিয়ে সতর্ক করছেন। বলেছেন, ‘টেস্ট ম্যাচ হারার চেয়ে আমি সবথেকে আশঙ্কায় বিরাটের শতরান পাওয়া নিয়ে। আমার ধারণা, চলতি সিরিজে ভারতের পক্ষে বিরাটই সর্বাধিক রানসংগ্রাহক হতে চলেছে।’ শুক্রবার শুরু অ্যাডিলেড টেস্টে বিরাটের সামনে বড় নজিরের হাতছানি। আরও একটা তিন অঙ্কের স্কোর মানে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ১০টি সেঞ্চুরি হবে বিরাটের।