রায়গঞ্জ: প্রায় ২০ বছর ধরে গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। গ্রামবাসীরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সেই বিবাদ মিটিয়ে কাঠমিস্ত্রি পরিবারকে জমি ঘিরে নিতে সহযোগিতা করলেন। রায়গঞ্জের দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার কাঠমিস্ত্রি বাঞ্চা সূত্রধর গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন পর নিজেদের জমিতে ঘেরা দিতে পারলেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে কাঠমিস্ত্রি বাঞ্চা সূত্রধরেরা তিন ভাই মিলে ১.৭৫ বিঘা চাষের জমি কেনেন। এরপর থেকেই জমি নিয়ে একাংশ বাসিন্দাদের পাশাপাশি শরিকি বিবাদ চলছিল। ১৫ দিন আগে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাদের জমির পাশ দিয়ে পাকা রাস্তার কাজ শেষ হতেই জমি ঘেরাকে কেন্দ্র করে বিবাদ চরম আকার নেয়। অভিযোগ, বাঞ্চাবাবুরা পাকা রাস্তা ঘেঁষে বেড়া দিতেই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বাধা দিয়ে তাদের জমির উপর বেড়া দিয়ে দেন। এরপরই বাঞ্চাবাবু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পা অধিকারীর দ্বারস্থ হন। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ বেঁকে বসেন। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনার পর পঞ্চায়েত সদস্যের তৎপরতায় বাঞ্চাবাবুর জমি দখলমুক্ত করে দেওয়া হয় এবং জমি ঘিরে নেওয়ার জন্য সূত্রধর পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। গ্রামবাসীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকে।
গ্রামবাসী বিশ্বজিত ঘোষ জানান, রাস্তা ঘেঁষে বেড়া দিচ্ছিল বলেই আমরা বাধা দিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে উনি ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন বলে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। ওনারা নিজেরা জমি ঘিরে নিয়েছেন। এখন আমাদের সঙ্গে আর কোনও ঝামেলা নেই, যা আছে ওনাদের নিজেদের শরিকি বিবাদ আছে। আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকতে চাই বলেই পাশে দাঁড়িয়েছি। জমির মালিক কাঠমিস্ত্রি বাঞ্চা সূত্রধরের দাবি, গ্রামবাসী ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের জন্যই দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে যে ঝামেলা ছিল তা দূর করা সম্ভব হয়েছে। সবাই পাশে দাঁড়ানোতে সমস্যা মিটেছে। আগামীতে গ্রামের সবাই মিলে এক সঙ্গে থাকতে চাই। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পা অধিকারী জানান, ২০ বছর ধরে জমি নিয়ে সমস্যা চলছিল। একাংশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে সূত্রধর পরিবারের যে একটা বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল সেটা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা নিজেদের জমি বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন। গ্রামের মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারেন তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞান অভীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রায়গঞ্জে