উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ডিভিসি জলে প্লাবিত দক্ষিনবঙ্গের একাধিক জেলা, এই অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চার পাতার চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে চিঠির জবাব পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানান হয়েছে, ‘রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়েনি ডিভিসি।’
এদিন কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রীর ‘অভিযোগের’ প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকে জল ছাড়ার আগে সবটা জানান হয়েছিল। রাজ্যের প্রতিনিধি রয়েছে ডিভিসিতে। প্রতিনিধির দ্বারা সব তথ্য আগেই দেওয়া হয়েছিল। তারপরই জল ছাড়া হয়েছে। আর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে সময় বুঝে যে জল ছাড়তে হবেই, তাও জানে রাজ্য। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে এমন অভিযোগ ঠিক নয় বলেই স্পষ্ট দাবি কেন্দ্রের।
উল্লেখ্য, মোদিকে পাঠানো চিঠিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে একক সিদ্ধান্তে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা, বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জলের তলায়। অতীতে এভাবে কোনওদিন ডিভিসি এত জল ছাড়েনি। নিম্ন দামোদর অববাহিকায় ২০০৯ সালের পর এটাই ভয়ংকরতম বন্যা। প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জলের তলায়। ৫০ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত। ডিভিসি যেভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, পুরো বিষয়টিকে উপেক্ষা করছে তাতে আমাদের মতো রাজ্যগুলিকে বহুদিন ধরে ভুগতে হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি এই বন্যা উপেক্কা করা যেত।’ এখন দেখার কেন্দ্রের জবাবে পাল্টা কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী।