বিপ্লব হালদার, তপন: ঘর থেকে উদ্ধার শ্রমিক দম্পতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তপনের গনাহার গ্রামে। মৃত স্বামী-স্ত্রীর নাম খোকা টুডু (৫৬) ও বীণাপানি বাস্কে (৪৭)। খোকা টুডুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তপন থানার গনাহারের বাসিন্দা খোকা টুডু। পরিবারে স্ত্রী বীণাপানি ও দুই মেয়ে। কয়েকবছর আগে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবারে থাকেন স্বামী, স্ত্রী। দুইজনেই শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু মাঝেমধ্যেই খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তাঁদের ঝগড়া গণ্ডগোল লেগে থাকত। খোকা ও বীণাপানির স্থানীয় বাউল উৎসবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের বাউল উৎসবে দেখতে পাননি পরিবারের অন্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা। বুধবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বীণাপানির ছোট জা ডাকাডাকি করলেও উত্তর মেলেনি।
এরপর বেলা বাড়তেই ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের অন্য সদস্যরা জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি মারেন। সে’সময় খোকার ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পরিবারের লোকজন দেখতে পান বীণাপানি মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর যায় থানায়। তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ান্নে লেপচার নেতৃত্ব বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আসেন ডিএসপি প্রদীপ সরকার। পুলিশ স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে রয়েছে পুলিশ। কোনও অনুমান করতে পারেনি। ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতের ভাই দেনু টুডুর বক্তব্য, ‘মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফিরে দাদা-বউদির সঙ্গে দেখা হয়নি। সন্ধ্যায় বাউল উৎসবে গিয়েছিলাম। সেখানেও দেখা হয়নি। সকালে আমার এক ভাইয়ের বৌ-এর নজরে আসে দাদা বৌদির ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করা হয়। কেউ উত্তর না দেওয়ায় জানালা দিয়ে উঁকি মারলে দাদার ঝুলন্ত দেখি। এরপরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দাদা ও বৌদির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেশা করা নিয়ে দাদা বৌদি মাঝে মধ্যে ঝগড়া গণ্ডগোল করত। এমন হবে মেনে নিতে পারছি না।’ তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ান্নে লেপচা বলেন, ‘স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না এলে কিছুই বলা যাবে না।