মাথাভাঙ্গা: দোল উৎসব চলাকালীন মাথাভাঙ্গার ছাট খাটেরবাড়িতে পুলিশি হামলার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে চিরাচরিত প্রথা মেনেই চলছিল দোলের পুজো। আর সেই পুজো উৎসবেই আনন্দে মেতেছিল এলাকাবাসী। সেই সময় আচমকাই পুলিশ গিয়ে মন্ডপের সামনে উপস্থিত হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা শহরের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ন দাস বলেন, ‘এলাকার সকলে মিলেই আনন্দ উৎসবে মেতে ছিলাম। পুলিশ এসে সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার পাশাপাশি মারধর করে সকলকেই। কিছু বলতে গেলে তারা কিছুই শোনে না।’ স্থানীয়দের আর অভিযোগ, পুলিশের মারে আহত হয়ে হাসপাতালেও যেতে হয় বেশ কিছুজনকে।
বাজনার বরাত নেওয়া গৌতম দাসের কথায়, ‘বাজনা বাজিয়ে সংসার চালাই, এটাই আমাদের কাজ। গতকাল রাতেও টাকার বিনিময়ে বাজনা বাজাতে এসেছিলাম। পুলিশ আচমকাই এসে আমাদেরকে মারধর করে পাশাপাশি আমাদের সমস্ত বাজনার যন্ত্রপাতি ভেঙে দেয়।’
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের বক্তব্য, ‘উৎসব একটা আনন্দের জিনিস সবাই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আনন্দ করুক। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি অতি বাড়াবাড়ি করা হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় পর্যায়ে আলোচনা করব।’
অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন ঘটনাপ্রসঙ্গে বলেন, ‘ছট খাটেরবাড়ির দোল উৎসবে আমি নিজেও অনেকবার যোগ দিয়েছি। শুনেছি প্রশাসনের বাহিনী নাকি সেখানে হামলা চালিয়েছে। অনেককে মারধরও করেছে। কাজটা মোটেও ভালো করেনি।’
যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে সেখানে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে যেতেই পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যায় এলাকাবাসীরা। এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ও মেখলিগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচবিহারের অ্যাডিশনাল এসপি সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘এধরনের অভিযোগ পুলিশের কাছে আসেনি। তবে উচ্চমাধ্যমিক চলছে, মাঝেমধ্যেই আমাদের কাছে অভিযোগ আসে যে অনেক রাত পর্যন্ত মাইক বাজছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের নিজের কাজ তো করতেই হবে।’ তবে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।