উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তবয করেছিলেন, ‘যদি একজন বন্ধু তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, সেখানে নিরাপত্তা কী করতে পারে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যদি এই ঘটনা ঘটে, সেখানে কি পুলিশ থাকবে?’ এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক তৈরি হয়। কল্যাণ ঘটনার গুরুত্ব লঘু করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এদিন সেই কল্যাণের গলাতেই অন্য সুর। হুগলির ডানকুনিতে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে কল্যাণ বললেন, ‘আইন আছে তাই ফাঁসি হবে। আইন না থাকলে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত!’ এমনকী, ‘কেন এই ধরনের বিকৃত মনস্ক মানুষ দলে থাকবেন? তাঁদেরকে চিহ্নিত করে বার করে দেওয়া উচিত। এমন লোককে বার করে দিলে মানুষ তাতে খুশি হবে, অখুশি হবে না।’
কল্যাণের আক্ষেপ, ‘যখন ৯৮-৯৯ শতাংশ কর্মী দলের জন্য কাজ করে দলকে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন এক দু’শতাংশ কর্মীর জন্য দলের বদনাম হয়, এটা দুঃখের।’ এদিন কল্যাণের নিশানায় ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। কল্যাণ বলেন, ‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একজন ছেলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করছে এর থেকে দুঃখের কিছু নেই। কোনও মূল্যবোধ দায়িত্ববোধ নেই। ’ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, গতকালের মন্তব্য যে দল অনুমোদন করেনি তা বুঝেছেন কল্যাণ। দলের তরফেও কল্যাণের মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।