বেলাকোবা: ময়নাগুড়িতে (Mainaguri) এটিএম লুটকাণ্ডে ধরা পড়ল আরও এক পলাতক অভিযুক্ত। শিলিগুড়ির মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে শনিবার ভোরে বৈকন্ঠপুর জঙ্গলে গ্রেপ্তার হয় ২ জন দুষ্কৃতী। তাদের হেপাজতে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় লুঠের ১৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এরপরও চলতে থাকে অপারেশন। শেষ পর্যন্ত রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেলাকোবা রেঞ্জের গেট বাজার সংলগ্ন বৈকন্ঠপুর জঙ্গল থেকে আরও একজন দুষ্কৃতী শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ধৃতের নাম ইরফান খান। বাবার নাম বাবার নাম রাজমল খান। রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গনপত জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তল্লাশি এখনও চলছে।
শুক্রবার রাতে ময়নাগুড়ির বৌলবাড়ি বাজারের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম কাউন্টারে গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম কেটে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে গজলডোবার কাছে গেটবাজার এলাকা দিয়ে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। জঙ্গলে পালানোর সময় অপারেশনে ব্যবহৃত সাদা রংয়ের একটি চার চাকা গাড়ি ফেলে রেখে যায়। ওই গাড়িতে ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ, শিলিগুড়ি পুলিশ ও বন দপ্তরের যৌথ দল। ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রবিবার ভোরে সরস্বতীপুর জঙ্গল থেকে মহম্মদ সামশের খান ও আসলুপ খান নামে বিহার ও হরিয়ানার দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার ধরা পড়ল আরও একজন।