চালসাঃ ইতিমধ্যে গ্রাম বাংলায় ক্ষেত থেকে সোনার ফসল কেটে অনেকেই বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। আর বাড়িতে নিয়ে এসে আঁটি থেকে ধান ঝাড়াই করার পর তা মজুত করে রাখা হয় সারাবছরের খাদ্য শস্য হিসাবে। ধানকে বাড়িতে মজুদ করে রাখার জন্য দরকার হয় বাঁশের তৈরি ডুলির। তাই এই সময় চাহিদা থাকে ডুলির। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়েই পেটের টানে, অধিক অর্থ উপার্জনের আশায় এবছরও ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে পারি দিয়েছেন ডুলি তৈরির কারিগরেরা। জোরকদমে চলছে তাঁদের ডুলি তৈরির কাজ। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিহারের ছাপড়া জেলার মোথারামপুর এলাকা থেকে ডুলি তৈরির কারিগরেরা এসেছেন চালসায় ।চালসার মঙ্গলবাড়ি বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে ডুলি তৈরির কাজ করছেন তাঁরা। তবে ডুলি তৈরি হলেও সেভাবে বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। বেড়েছে ডুলি তৈরির বাঁশের দাম সহ খাদ্যদ্রব্যের দাম। তারপরও এবছর ব্যাবসা ভালো হওয়ার আশায় রয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মঙ্গলবাড়ি বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে দিন রাত চলছে ডুলি তৈরির কাজ।
ডুলি তৈরির কারিগর শঙ্কর মাহাতো বলেন, “এবছর নভেম্বর মাসের শুরুতে এসেছি।জানুয়ারির শেষের দিকে চলে যাবো। তবে ডুলি তৈরি হলেও এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। তার ওপরে বেড়েছে বাঁশের দাম। গত বছর তিন মাসে সব খরচ বাদে এক একজন কারিগর ১৫-২০ হাজার টাকা করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছি। তবে এবছর কেমন হয় তা এখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।” তাঁরা আরও জানান , ছোট,মাঝারি এবং বড়ো ডুলি তৈরি করা হচ্ছে। দাম রাখা হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা। অর্ডারেও তৈরি করা হয় ডুলি। বংশপরম্পরায় তাঁরা করে চলেছেন এই কাজ। বাপ ঠাকুরদার হাত ধরেই শেখা । বছরের অন্যান্য সময়ে নিজের রাজ্যে ক্ষেত মজুরের কাজ করেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।