লন্ডন: ইউরো কাপে ব্যর্থতার পরই সরে দাঁড়ান গ্যারেথ সাউথগেট। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে ভাসছিল একাধিক নাম। তার মধ্যে যেমন স্বদেশি কোচদের নাম ছিল, তেমন ভাসছিল পেপ গুয়ার্দিওলা, মৌররিসিও পচেত্তিনোদের নামও। অবশেষে জার্মান কোচ টমাস টুচেলের (Thomas Tuchel) ওপরই আস্থা রাখল ইংল্যান্ডের দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর হাত ধরেই এবার দীর্ঘদিনের শাপমুক্তির স্বপ্ন দেখছে থ্রি লায়ন্সরা।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ইংল্যান্ড ফুটবল দলের (England’s new head coach) দায়িত্ব নেবেন টুচেল। বুধবারই সরকারিভাবে এফএ-র তরফে সাউথগেটের উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। অতীতে পিএসজি, চেলসি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো ক্লাবের দায়িত্ব সামলেছেন। সর্বশেষ বায়ার্ন মিউনিখের কোচের পদে ছিলেন। এদিকে, ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থা এমনই একজন কোচের খোঁজে ছিলেন যাঁর ইংল্যান্ডের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। একই সঙ্গে সফলও। পছন্দের তালিকাতেও ছিল টুচেলের নাম। জার্মান কোচ হ্যারি কেনদের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী শুনে আর সময় নষ্ট করেনি এফএ। ৮ অক্টোবর দুই পক্ষের চুক্তি হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত টুচেল বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড ফুটবলের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগ অনুভব করি। কিছু বিশেষ মুহূর্তও রয়েছে এদেশে। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে সম্মানের। ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি উত্তেজিত। ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতানো আমার লক্ষ্য।’
৫১ বছরের জার্মান কোচের সঙ্গে ১৮ মাসের জন্য চুক্তি করেছে এফএ। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সিনিয়ার দলের দায়িত্ব সামলাবেন টুচেল। এদিকে, সাউথগেট সরে যাওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসাবে কাজ করছেন লি কার্সলে। আগামী মাসে নেশনস লিগে গ্রুপের শেষ দুইটি ম্যাচেও তিনিই ডাগআউটে থাকবেন। টুচেল কাজ শুরু করবেন জানুয়ারিতে। জার্মান কোচের সহকারী হিসাবে থাকছেন ইংলিশ কোচ অ্যান্টনি ব্যারি। অতীতে চেলসিতেও টুচেলের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।