নাগরাকাটা: তিন দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবের (Elephant Attack) জেরে আতঙ্ক নাগরাকাটার (Nagrakata) বিস্তীর্ণ এলাকায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া হল ‘বায়া গণেশ’। ‘বেলচা’ নামে আরেকটি দাঁতালও কম যাচ্ছে না। এদের সঙ্গে দোসর হিসেবে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় দাঁতাল। বায়া গণেশের হামলায় ফের দুটি বাড়ি চুরমার হয়ে গিয়েছে। এবারের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে নাগরাকাটার চ্যাংমারি চা বাগান সীমান্তের লালঝামেলা বস্তিতে (Lal Jhamela Basti)। সব মিলিয়ে এই তিন দাঁতালকে বাগে আনতে নাজেহাল দশা বনকর্মীদের।
বন দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম দিকের দাঁত থাকা বায়া গণেশের টার্গেটই মূলত ঘরবাড়ি। ধান, আটা সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর খোঁজেই সেটি বাড়িতে হামলা চালায়। লালঝামেলা বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা বলেন, ‘দাঁতালটি এক ধাক্কায় টিনের শেডের দেওয়াল ভেঙে ঘরে থাকা চাল, আটার ব্যাগ নিয়ে নেয়। আমরা কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’ অন্যদিকে বেলচা নামের হাতিটি এখন ডেরা বেঁধেছে সুলকাপাড়ার জঙ্গলে। সেটিও নানা জায়াগায় হামলা চালাচ্ছে। অন্য আরেকটি দলছুট দাঁতাল ঘুরে বেড়াচ্ছে রেড ব্যাংক চা বাগান লাগোয়া স্থানে। ওই ৩ দলছুট ছাড়াও বর্তমানে ডায়নার জঙ্গলে আরও কয়েকটি হাতি রয়েছে। তবে সেগুলি একসাথে জোট বেঁধে থাকে। লোকালয়ে গেলেও সেগুলির লক্ষ্য মূলত ফসলের খেত।
বন দপ্তরের ডায়নার রেঞ্জ অফিসার অশেষ পাল বলেন, ‘রাতভর বনকর্মীরা ডিউটি চালিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক স্থানে হাতি বের হচ্ছে।’ লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনালি বিশ্বাস বলেন, ‘লালঝামেলা বস্তিতে ভেঙে ফেলা বাড়ি দুটির দশা খুবই বেহাল। খবর পেয়ে এদিন দুটি পরিবারকেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জরুরিকালীন ত্রাণ হিসেবে ত্রিপল, কম্বল, চাল দেওয়া হয়েছে। বন দপ্তরকেও বলা হয়েছে ওঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখার জন্য।’