উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার বিধানসভায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ নেবেন সদ্যনির্বাচিত ছ’জন তৃণমূল বিধায়ক। নিয়মমাফিক নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ করাতে বিধানসভায় যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুরোনো তিক্ততা কাটিয়ে এদিন বিধানসভায় মুখোমুখি হতে পারেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। নৈহাটি, হাড়োয়া, মাদারিহাট, সিতাই, তালড্যাংরা ও মেদিনীপুরে জয়ী হয় তারা। সোমবার বিধানসভায় ওই বিধায়কদেরই শপথগ্রহণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে একসঙ্গে সামনাসামনি দেখা যায়নি। নবনির্বাচিত ৬ বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় রাজভবন। গত ১৫ অগাস্ট প্রথা মেনে রাজভবনের চা চক্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেলেও তখন রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। এরই মধ্যে রাজভবনে শ্লীলতাহানির ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় আনন্দ বোসের। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। এবার রাজ্যপাল নিজেই বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠানে বিধানসভায় যেতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে খবর। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে সুসম্পর্ক গড়ার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে হয়েছিল বরাহনগর ও ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচন। এই দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। বিধানসভায় এসে এই বিধায়ককে শপথ পাঠ করাননি রাজ্যপাল। শেষমেশ বোসের অনুমতিতে বিধানসভায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান ডেপুটি স্পিকার। তার পরে গত অগাস্ট মাসে মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে অবশ্য ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়ক রাজভবনে গিয়ে শপথ নিয়েছিলেন। সেখানে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে একই অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও রাজ্যের বিরোধী দল অংশ নেবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।