শিলিগুড়ি: জমিকাণ্ডে ধৃত দেবাশিস প্রামাণিককে বহিষ্কার করল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল (Jalpaiguri TMC)। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি (Dabgram Fulbari) ব্লক সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেবাশিসের বিরুদ্ধে জমি দখল, নথি বিকৃত করা, মারধর, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। আমবাড়ি ফাঁড়ি এলাকার পাঘালুপাড়ার বাসিন্দা জনৈক বিমল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয় শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির দাপুটে তৃণমূল (TMC) নেতা দেবাশিসকে। গত ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে তাঁকে জেরা করে পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একসময় কংগ্রেস করলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন দেবাশিস প্রামাণিক। ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িও রয়েছে। বিভিন্ন সময় দেবাশিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও সেসব নিয়ে থানা-পুলিশ করার খুব একটা সাহস দেখাননি কেউ। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা থেকে জিতে ২০১১ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব (Goutam Deb)। পরে গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন দেবাশিস। ২০১৮ সালে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্যও হন। ওই এলাকায় তৃণমূলের সংগঠনে কার্যত তিনিই ছিলেন শেষকথা।
কিন্তু ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা ও লোকসভা সবেতেই ধারাবাহিকভাবে ফল খারাপ হয় তৃণমূলের। লাগোয়া শিলিগুড়িতেও ফল ভালো হয়নি। দলের তদন্তে উঠে আসে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায় জমির কারবার মাত্রাছাড়া হয়ে পড়েছিল। যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সেবক রোডে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। যার জন্যও মুখ পোড়ে তৃণমূলের। তাই নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো একদিকে যেমন বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, অন্যদিকে জমির কারবার বন্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে।