উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডে হতাহতদের মৃত এবং জখমদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার শুভেন্দু অধিকারী খাদিকুল ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ, সাংসদ দোলা সেন, সৌমেন মহাপাত্র। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতিও। কিন্তু বিজেপির একটানা স্লোগান শোনা যায় সেখানে। বিক্ষোভের জেরে আর এগোতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। এটা বিজেপির কাজ বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁর অভিযোগ, বাম এবং বিজেপির মধ্যে আঁতাত চলছে। পরিস্থিতি অশান্ত হতেই ‘কর্মসূচি’ বাতিল করে ফিরে যেতে হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে।
মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু রাউডি অশান্তি পাকানোর ছক কষছিল। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। মৃত এবং জখমদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা ফিরে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি। বুধবার খাদিকুলে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ওই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি করেন। পাশাপাশি, শুভেন্দুর অভিযোগ ওই বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ ‘তৃণমূলের বড় নেতা’। ওই কারখানায় শুধু বাজি নয়, বোমাও তৈরি হত। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সেগুলো তৃণমূলকে সরবারহ করতেন ভানু। এই ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফারও দাবি করেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী খাদিকুল ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে যখন গ্রামবাসীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় পেছন থেকে দলে দলে চলে আসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে তুলতে প্রতিনিধি দলের রাস্তা ঘিরে ধরেন তাঁরা। মানস ও দোলা ভিড় ঠেলে পাশে একটি বাড়িতে মৃত এবং জখমদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বজনহারাদের পাশে আছেন। যাঁদের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।