উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) থেকে সাসপেন্ড করা হল প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) এবং ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam)। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এক ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন। এর আগেও আরাবুলকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে তা প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে আরাবুল জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন।
আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিছুদিন আগে জামিন পান তিনি। জামিন পেলেও ভাঙড়ে আর আগের মতো দাপট বজায় রাখতে পারেননি একসময় তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’। বিভিন্ন কারণে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে আরাবুলের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধে জড়ান আরাবুল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এই ঘটনায় আরাবুলকেই দায়ী করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলেন শওকত মোল্লা। তারপরই এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। আরাবুল ইসলাম অবশ্য খবর লেখা পর্যন্ত বহিষ্কার নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) মুখ খুলেছিলেন শান্তনু সেন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্র নিয়ে সেইসময় নানা কথা উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে। তারপরই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আর এবার দল থেকেই সাসপেন্ড করা হল শান্তনুকে। তবে শান্তনু জানিয়েছেন, তিনি দলবিরোধী কোন কাজ করেছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।