গৌরহরি দাস, কোচবিহার: বাণেশ্বর নয়! একটি বড় কচ্ছপ মরে ভেসে উঠল কোচবিহার (Coochbehar) শহরের ঐতিহ্যবাহী রাজমাতাদিঘিতে (Rajmata Dighi)। বর্ষায় দিঘির জলে কচ্ছপের মরে (Tortoise Death) ভেসে ওঠার ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন ঘটনার পেছনে চোরাশিকারির হাত রয়েছে। বাস্তুতন্ত্র মেনে দ্রুত দিঘিটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘দিঘিটিতে চোরাশিকারিরা মাছ ধরে। দিঘিতে অনেক কচ্ছপ থাকায় মাছ ধরার সঙ্গে সঙ্গে কচ্ছপ ধরারও চেষ্টা করে। চোরাশিকারির বড়শির ঘায়ে কচ্ছপটি মারা গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর আগেও অনেক কচ্ছপ দিঘিটি থেকে চুরি হয়েছে। দ্রুত দিঘিটির সংস্কার করা উচিত।
বর্তমান কাউন্সিলার পম্পা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘রাজমাতাদিঘির কচ্ছপটি মারা যাওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনের কাছে ঐতিহ্যবাহী দিঘিটি সংস্কারের আবেদন করা হবে।’
শহরের মিনিবাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাজরাজেন্দ্রনারায়ণ রোডের ধারে রাজমাতাদিঘিটি অবস্থিত। দিঘির উত্তরে ঐতিহ্যবাহী রাজমাতা মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরটি ১৮৮৪ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরেন্দ্রনারায়ণের স্ত্রী নিস্তারিণী দেবী প্রতিষ্ঠিত করেন। রাজমাতা মন্দিরের ধারে হওয়ায় দিঘিটির এমন নামকরণ করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মন্দিরটিতে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসেন। মঙ্গলবার ওই দিঘির একটি কচ্ছপকে মরা অবস্থায় ভেসে উঠতে দেখা যায়। ভরা বর্ষায় কচ্ছপটির মৃত্যুর পেছনে চোরাশিকারিদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। দিঘিটির রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।