গাজোলঃ বছর ২৩ –এর এক গৃহবধূ, কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ তাঁকে সইতে হত শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার। এরপর একপ্রকার বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হয় ওই বধূকে। স্বামীর কাছে সংসার খরচের টাকা চাইতে গেলে মেলে প্রাণে মারার হুমকি। শেষ পর্যন্ত আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ। নির্যাতিতা ওই বধূর নাম কাজলী কর্মকার বিশ্বাস , বাপের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকার রাধানগর গ্রামে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কাজলী জানায় , বছর তিনেক আগে গাজোলের চাক নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জোড়পুকুর গ্রামের সঞ্জিত বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছু দিন বেশ ভালোভাবেই সংসার করেছিল সে। কিন্তু কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকেই তার উপর অত্যাচারের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।স্বামী ছাড়াও তাকে নানাভাবে অত্যাচার করে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ।
তিনি বলেন, “মেয়ের মুখ চেয়ে অত্যাচার সহ্য করেও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এরপর আমাকে একটি ভাড়াবাড়িতে রেখে স্বামী সঞ্জিত বিশ্বাস ভিন রাজ্যে কাজে চলে যায়। তারপর থেকে আমার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সংসার খরচের কোনও টাকা পয়সা দিচ্ছে না। টাকা চেয়ে ফোন করলে নানা ধরনের গালিগালাজ এবং ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি বাধ্য হয়ে এদিন গাজোল থানাতে এসেছি অভিযোগ জানানোর জন্য।এদিন আমি স্বামী সঞ্জিত বিশ্বাস এবং শ্বশুর সাধন বিশ্বাসের নামে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।