সোনাপুর: দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই গিয়ে সময় কাটান বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের চিলাপাতা পর্যটনকেন্দ্রেও দুর্গাপুজোর সময় পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় চোখে পড়ার মত। বাঙালির সব থেকে বড় উৎসবে বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও চিলাপাতায় আসা বাঙালি পর্যটকরা কিন্তু দশভূজার আরাধনায় শামিল হন ওখানেই। তবে শুধু বাঙালি পর্যটক বললে ভুল হবে, সব পর্যটকদের এই দুর্গোৎসবে শামিল হতে দেখা যায়। পুজোর কাজে হাত লাগানোর পাশাপাশি, অঞ্জলী দেওয়া, প্রসাদ বিতরণ সব জায়গাতেই “অতিথিদের” শামিল হতে দেখা যায়। শুধু পুজোতেই এটা সীমাবদ্ধ থাকে না। পুজোর কয়েকদিন সন্ধ্যায় ওখানে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, বিশেষ করে রাভা, আদিবাসী নাচ, সেখানেও অংশ নেনে পর্যটকরা। চিলাপাতার দুর্গোৎসব নাকি অন্যতম প্রধান আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে।
চিলাপাতা রেঞ্জ অফিসে এই পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে প্রতিবছর। স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী, এই পুজোর শুরু ১৯৮০ সালে। সেই সময়কার বন দপ্তরের চিলাপাতার রেঞ্জার মনীন্দ্র সাহার উদ্যোগেই নাকি খড়ের ছাউনী থেকে চিলাপাতা ফরেস্ট অফিসের দুর্গাপুজা শুরু হয়। এখন সেটা গোটা চিলাপাতা এবং আশপাশের সমস্ত বস্তিবাসীদের সার্বজনীন পুজা হয় উঠেছে। ছাউনী এখন আর নেই, ওটা কংক্রিটের মন্দির হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে চিলাপাতা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের কর্মীদের নিয়ে গঠিত চিলাপাতা ফরেস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত নব যুব সংঘ, এই দুই ক্লাবের যৌথ উদ্যোগেই চিলাপাতায় সার্বজনীন দুর্গোৎসব পালন করা হয়। এবারও একইভাবে এই পুজোর আয়োজন হবে বলে জানাচ্ছে পুজো কমিটির সদস্যরা। এবারের এই পুজো ৪৩তম এবং বাজেট প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন চিলাপাতার রেঞ্জার সুদীপ্ত ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘সকলে আনন্দ করে কীভাবে পুজো করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। বন প্রাণীদের যেন সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিও নজর রাখা হচ্ছে। এতবছর থেকে গতানুগতিক ভাবে যেভাবে পুজো হয়ে আসছে,ওই ভাবেই পুজোর আয়জন করা হচ্ছে।” সরকারি অনুদান ছাড়াও, চিলাপাতা রেঞ্জ অফিসের কর্মীদের পাশাপাশি চিলাপাতা বিট, বানিয়া বিট ও মেন্দবাড়ি বিটের বন কর্মীরা পুজোর চাঁদা দেন। এছাড়াও পর্যটন ব্যবসায়ী এবং গ্রামবাসীদের কাছেও চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। বনকর্মী থেকে শুরু করে, হাতির দেখভাল করা মাহুতরা এবং আস পাসের কুর্মাই, বানিয়া, আন্দু, পিছরা, ডাবরি, মেন্দাবারি বস্তির বাসিন্দারাও পুজোয় শামিল হয়। সিকিমের অবস্থা বর্তমানের ভয়াবহ হওয়ায় সেখানে পর্যটকদের যাওয়া অনেকটাই কমে গিয়েছে।বিভিন্ন জায়গার পর্যটকরা এবার ডুয়ার্সমুখী হবেন বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসয়ীরা। চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন এই পরিস্থিতি এবং চিলাপাতার দুর্গাপুজোর আকর্ষণে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে আলিপুরদুয়ার জেলার এই পর্যটনকেন্দ্রে।
চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির সভাপতি গণেশ চন্দ্র শা বলেন, ‘পুজোতে বনবস্তির বাসিন্দারা যেমন অংশ নেয়, তেমনই ওই সময় আসা পর্যটকরাও একইভাবে শামিল হয়। এবারও একই ছবি দেখা যাবে।’
রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: মিরিক পর্যটন মানচিত্রে একটি অতিপরিচিত নাম। কিন্তু পর্যটকদের কাছে মিরিক এক রাত…
মানিকচক: কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বিধবাকে শ্লীলতাহানি করে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের…
শুভঙ্কর চক্রবর্তী প্রাচীনকালে ভোজ শুরু হত ঘি দিয়ে, শেষ হত মধু দিয়ে। যা থেকে…
গৌতম সরকার ‘চির নূতনেরে’ ডাক দেওয়ার কথা পঁচিশে বৈশাখে। বদলে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর (Hardeep Singh Nijjar) ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন…
বক্সিরহাট: এই প্রথম রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে চিতাবাঘের এনক্লোজারে রিমঝিম ও গরিমার কোল আলো করে জন্ম…
This website uses cookies.