দুর্গাপুরঃ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আসা হত। অভিযোগ তাদেরকে বিয়ে দেওয়া হত। পরে সেই মেয়ে গুলোকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এই ধরনের একটা চক্র চলত পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বেনাচিতি সংলগ্ন ধুনরা প্লটের ভাড়াবাড়ি থেকে। এই চক্রের মূলপান্ডা সেপকো টাউনশিপের রঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা গণপিটুনি দেয়।
জানা গিয়েছে, আড়াই মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ এলাকা থেকে বছর আঠারোর এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। বসিরহাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে বসিরহাট থানার পুলিশ। তারই মধ্যে ঐ ছাত্রীর বাবাকে ভুয়ো আইনজীবীর পরিচয় দিয়ে মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য জন্ম শংসাপত্র পাঠানোর কথা জানানো হয়। অভিযোগ রঞ্জন মুখোপাধ্যায় নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে নিঁখোজ মেয়েটির বাবাকে ফোন করেন। শংসাপত্র পাঠালে তার মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। মেয়ের বাবার মনে সংশয় তৈরি হওয়ায় কোনও নথি পাঠাননি। পরিবর্তে তিনি সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। এরপর থেকে ঐ ছাত্রীর মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। তদন্ত চালাচ্ছিল বসিরহাট থানার পুলিশ।
সম্প্রতি মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে দুর্গাপুরের ধুনরাপ্লটের নাম উঠে আসে। বসিরহাট পুলিশের একটি দল ঐ ছাত্রীর বাবাকে নিয়েই সোমবার রাতে হাজির হয় দুর্গাপুরে। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয় তল্লাশি। দীর্ঘ সময় পর মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ পৌঁছায় ধুনরা প্লটের ঐ ভাড়াবাড়িতেই। সেই সময় বাড়ির ভেতরেই ছিলেন রঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তখনই রঞ্জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সামনে সেপকো টাউনশিপের বাসিন্দা এই রঞ্জন মুখোপাধ্যায় নিজেকে হিউম্যান রাইটসের যুগ্ম সম্পাদকের পরিচয় দেন।
তিনিই কি এই চক্র চালাতেন? বসিরহাট জেলা পুলিশের আধিকারিকরা জানতে চায় ছাত্রীটি কোথায়? তার কাছ কোনও উত্তর না পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গ্রেপ্তার হন বাড়ির মালিক ও আরও এক ব্যাক্তি। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভীড় জমান স্থানীয়রা। রঞ্জনের ওপর চড়াও হয় তাঁরা। পুলিশের সামনেই শুরু হয় গণপিটুনি।
সূত্রের খবর, এই রঞ্জন মুখোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসতেন। তারপর তাদের বিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সুত্রে পাওয়া খবর। বিয়ের পর এই ভাড়া বাড়ি থেকে নববিবাহিত দম্পতিকে বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হত। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার রাতে বসিরহাটে নিয়ে যায় বসিরহাট জেলা পুলিশ। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে ঐ ছাত্রীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হবে বলেও বসিরহাট পুলিশ জানায়। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, বসিরহাট জেলা পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফেও তদন্ত করা হচ্ছে। এই চক্রে দুর্গাপুর ও তার আশপাশের এলাকার কেউ জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মানিকচক: অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধান। উদ্ধার হয়েছে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহিলাদের ক্রিকেটে ফের বিশ্বরেকর্ড ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম…
সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ফের প্রতিবেশী রাজ্যকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা সিকিমের (Sikkim)। এরাজ্যে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা…
চোপড়া: জলকাদা ডিঙিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হচ্ছে ছাত্রীদের। কারণ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। যার জেরে চলতি বর্ষায়…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিচারব্যবস্থা মন্দির হলেও, বিচারকদের দেবতা ভাবা ঠিক নয়’ শনিবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে…
This website uses cookies.