তুফানগঞ্জ: দুর্গাপুর কাণ্ডে তুফানগঞ্জ থানায় (Tufanganj Police Station) বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘাতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তুফানগঞ্জ শহর। হামলা-পালটা হামলায় দু’পক্ষের চারজন আহত হয়েছিল। যদিও পরে কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। কিন্তু রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাটাবাড়ি বিধানসভার চিলাখানা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোঘারকুঠি ও দেওচড়াই মোড় এলাকা।
বিজেপির অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে পরপর দুটি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে (BJP PARTY OFFICE) ভাঙচুর চালায় তৃণমূল। দলীয় কার্যালয়ে থাকা টিভি, চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পার্টি অফিসে তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
নাটাবাড়ি বিধানসভার বিজেপি-৩ মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জিৎ দাস অভিযোগ করে বলেন, দিনের বেলায় সংঘর্ষের পর রাতে আমাদের দুটি পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ দেখেও কিছু করছে না। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত তৃণমূলের রাজনৈতিক সন্ত্রাস। পুলিশ প্রশাসনকে বলব, যদি তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার না হয় তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামব। এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে চিলাখানা-২ তৃণমূলের যুব সভাপতি সুমন রহমান বললেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি নিজেরাই নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক সহানুভূতি পেতে চাইছে। তবে এনিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে দুটি এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই এলাকাতে মোতায়েন রয়েছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।

