গঙ্গারামপুরঃ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য পাড়ায় পাড়ায় এজেন্সি খোলা হয়েছিল। রাজ্যে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার দলীয় কর্মীসভায় যোগ দিতে এসে গঙ্গারামপুরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, “৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। আসলে সেই সময় চাকরি দিতে গিয়ে এমন অব্যবস্থা করেছিল পর্ষদ সহ সরকার, যার ফলে ব্যাপক টাকার লেনদেন হয়েছে। চরম অব্যবস্থা হয়েছে। ২০১৬ সালে অনেক যোগ্য মেধাবী চাকরিপ্রার্থী চাকরি পাননি। তারা বঞ্চিত হয়েছেন।”
এই প্রসঙ্গে সেলিম আরও বলেন, ২০১৬ সালে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য পাড়ায় পাড়ায় এজেন্সি খোলা হয়েছিল। তার মাধ্যমে টাকা তুলে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক যে সমস্ত চাকরিরত শিক্ষকেরা চাকরি হারালো, তাদের এবার কি হবে? তাদের দায় কে নেবে? দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট যা অর্ডার দিচ্ছে তা ধামাচাপা দিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে।
অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়েছিল বলে গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ ধরে মো: সেলিম বলেন, যখন অ্যাপটিটিউড টেস্ট হচ্ছিল তখন কি গৌতম বাবু দায়িত্বে ছিলেন? নিজের ঘাড়ে শুধু শুধু দোষ কেন নিচ্ছেন? তখন যিনি সভাপতি ছিলেন, তার কাছ থেকে ব্যাপক টাকা উদ্ধার হয়েছে, তিনি জেলে রয়েছেন।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরের সেলিম বলেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা সকলে লড়াই করব। মানুষ যখন একাট্টা হবে, তখন দিল্লিতে মোদি সরকার ও রাজ্যে তৃণমূল সরকারের পতন হবেই।