উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতার বেলেঘাটায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গুলি চালনার ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন এক তৃণমূল নেতা সহ চার কর্মী। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই রবিবার রাতে গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজু নস্করকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওডিশার গোপালপুর থেকে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে তৃণমূল নেতা রাজু নস্করের বিরুদ্ধে তৃণমূল কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের অভিযোগ উঠেছিল।
কলকাতার বেলেঘাটায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গুলি চালনার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য–রাজনীতি। ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার বেলেঘাটার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল নেতা রাজু নস্কর এবং অলকানন্দা দাসের অনুগামীদের মধ্যে তুমুল মারপিঠ হয় বলে অভিযোগ। অলকের অনুগামীদের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করতেন রাজু। রাজুর অফিসে গেলে সেখান থেকে গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করে অলকানন্দের গোষ্ঠী। এমনকী সংঘর্ষ চলাকালীন রাজু নস্করই গুলি চালান বলে অভিযোগ। গুলি লাগে পিনকা নামে জেলেপাড়ার এক যুবকের গায়ে।
এই ঘটনার দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বেলেঘাটার আলোছায়া এলাকা। বিরোধীরা সরব হয়েছিল এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দোষীকে রেয়াত করা হবে না। সেটা যে দলেরই নেতা হোক না কেন। আর তার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত রাজু নস্কর।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই সদলবলে গা ঢাকা দেয় গুলিচালনার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু নস্কর। রাজুকে ধরতে জাল বিছায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার পর রাজু ওডিশায় এক হোটেলে আত্মগোপন করে আছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ওডিশার গোপালপুরের হোটেলে পুলিশ হানা দিয়ে রাজু এবং তার তিনজন শাগরেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজু। রাজু নস্করের দাবি, ‘অফিস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ষড়যন্ত্র।’ রাজুর বিরোধী শিবিরের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে রাজু নস্কর হিংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। বেলেঘাটায় সংঘর্ষের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজু সহ মোট ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ।