বালুরঘাট: সরকারি জায়গা দখল করে রমরমিয়ে চলছিল পার্টি অফিস। এমনকি এক দুটো নয়, রাজ্য সড়কের পাশে তিনটি রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস সক্রিয় ছিল। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister) নির্দেশের পর সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার বালুরঘাট থানা মোড় থেকে গোবিন্দপুর পর্যন্ত রাস্তার ধারে থাকা পার্টি অফিসের একাংশ গুড়িয়ে দিল সরকারি বুলডোজার। এদিনের উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন বালুরঘাট(Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, বালুরঘাট সদর মহকুমা শাসক সুব্রতকুমার বর্মন প্রমুখ।
সরকারি জায়গা দখল করে দোকান করা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছিল। যার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল করা যেমন মুশকিল হয়ে পড়েছিল। ঠিক তেমনি রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও বেগ পেতে হচ্ছিল প্রশাসনকে। সেই কারণে ফুটপাত সহ সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বালুরঘাটের একাধিক সরকারি জায়গা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। এদিন বালুরঘাট-তপন রাজ্য সড়কের পাশে বিভিন্ন এলাকা দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামে প্রশাসন। দোকানের পাশাপাশি কিছু কংক্রিটের নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। এদিনের অভিযানের রুটে তিনটি দলীয় কার্যালয় পড়েছিল। যেগুলো সরকারি জায়গার উপরেই অধিকাংশ নির্মিত। সেই জায়গা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একাধিক রাজনৈতিক দল সেই নির্দেশে তেমন আমল দেয়নি। এই রাস্তার দু’পাশেই তৃণমূল, আরএসপি ও বিজেপির দলীয় কার্যালয় রয়েছে। আরএসপি সরকারি নির্দেশ মেনে নির্ধারিত জায়গা থাকা কার্যালয়ের কিছুটা অংশ নিজেদের উদ্যোগেই ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু চকভৃগু এলাকার তৃণমূলের কার্যালয় ও গোবিন্দপুর এলাকার বিজেপির কার্যালয় ভাঙা হয়নি। এদিন বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পার হতেই তৃণমূলের কার্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। একদিনের মধ্যে বাকিটা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির কার্যালয় সরকারি নির্দেশিকায় কর্ণপাত করেনি। এদিন সেই কার্যালয় ভাঙতে গেলে তারা সময় চায়। অবশেষে তাদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। না হলে সেটিও ভেঙে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ও উন্নয়নের কাজে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না। প্রায় সকলেই আমাদের কাজে সহযোগিতা করছেন।’