লাটাগুড়ি: প্রধান, উপপ্রধান পছন্দ না হওয়ায়, তার প্রতিবাদে গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয় ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্রান্তি ফাঁড়ির বিরাট পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি, নামানো হয় র্যাফ।
জানা গিয়েছে, এই চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৩টি। নির্বাচনে, তৃণমূল ৯টি ও বিজেপি ৪টি আসন পায়। এদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। ধরলা নদী এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। নদীর একপাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে কার্যালয়ের দিকে রয়েছে সাতটি আসন, যার মধ্যে ৬টি আসন তৃণমূল ও নদীর ওপারে থাকা ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি তৃণমূল পায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের দাবি ছিল, ধরলা নদীর পাশে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের দিক থেকেই প্রধান উপপ্রধান করা হোক। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় দলীয় নির্দেশে বন্ধ খাম খুলতেই দেখা যায়, নদীর অপর প্রান্ত থেকে নন্দিতা রায় মল্লিককে প্রধান ও মনোরঞ্জন মণ্ডলকে উপপ্রধান করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি মতো প্রধান না হওয়ায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পাশেই চলে বিক্ষোভ। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের গ্রিলের গেট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে এলাকায় নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।