অরিন্দম বাগ, মালদা: ক’দিন আগেই মেয়েদের রাতের দখল কর্মসূচির পর মালদা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এনিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিজেপি কর্মীদের দিকে আঙুল তুলে চামড়া টেনে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার পঞ্চম দফার রাত দখলের কর্মসূচির আগে আন্দোলনকারীদের রাস্তায় ফেলে পেটানোর হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর সারা রাজ্যের পাশাপাশি মালদা শহরেও মেয়েদের রাতের দখল কর্মসূচি আয়োজিত হয়। আরজি কর মেডিকেলের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় আন্দোলনকারীরা যে সন্তুষ্ট নন, তা কর্মসূচির প্রতিটি স্লোগানেই উঠে আসছিল। সেই কর্মসূচি শেষে দেখা যায়, পোস্ট অফিস মোড়ে থাকা তৃণমূলের(Trinomool) একাধিক দলীয় পতাকা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপিকে(BJP) দায়ী করে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের চামড়া টেনে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী। পঞ্চম দফায় রাতের দখল কর্মসূচির ঠিক আগে মালদা শহরে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে সেই ইস্যুতেই আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকার।
সভামঞ্চ থেকে দুলাল সরকার বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের আন্দোলনে মিশে, ছাত্র আন্দোলনের পিছনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়েছে। এমনকি আমাদের দলীয় পতাকায় আগুন লাগানোর ঘটনাও সামনে এসেছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমাদের কাছে তার নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আমরা মনে করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের ঠ্যাঙিয়ে রাস্তায় ফেলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা কাউকে ঠ্যাঙাইনি, মারিনি। কারণ, হাসপাতালের জুনিয়ার চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। আমরা যাকে মারব, তার মৃত্যুও হতে পারে। সেই কারণে আমরা কিছু করিনি। সিপিএম-বিজেপির দালালরা মনে করবেন না, তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। যারা এই আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে গিয়ে সিপিএম-বিজেপির দালালি করছে, তাদের আমরা চিহ্নিত করে শিক্ষা দিতে পারি। আগামীদিনে এমন ঘটনা ঘটলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’
দুলালবাবুর হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় মালদা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। শুধুমাত্র তৃণমূলের কর্মীরা নন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন। এরা সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতার আসনে টিকে থাকতে চাইছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে এদের মদত দিচ্ছেন।’