উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) রাজধানী আগরতলায় (Agartala) তৃণমূলের রাজ্য কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপি (BJP)-কে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে গেরুয়া শিবির। তাদের পালটা দাবি, কোনও হামলা হয়নি।
গতকাল দুর্যোগ-বিপর্যস্ত নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা চা বাগানে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। খগেন মুর্মুর চোখের নীচে একটি ঢিল এসে পড়ায় অঝোরে রক্ত পড়তে থাকে। নিগৃহীত হন শংকর ঘোষও। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে। ঘটনার নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা- যাঁদের মধ্যে এক জন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন-পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন আগরতলার বনমালিপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ মিছিল থেকেই তাদের ত্রিপুরার রাজ্য কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বিজেপির লোকেরা তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়- এটি গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে।
বিজেপি মুখে বলে “গণতন্ত্র বাঁচাও”, অথচ একের পর এক রাজ্যে তার ভিত্তিটাকেই জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা অফিস ভাঙতে পারে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে- কিন্তু তারা কখনও মুছে দিতে পারবে না সেই প্রতিরোধের চেতনা, যা প্রতিটি তৃণমূল কর্মীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে।
আমরা চুপ থাকব না। আমরা পিছিয়ে যাব না।
ত্রিপুরা ও ভারতের বাসিন্দারা সবকিছু দেখছে।’
বুধবার ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা তৃণমূলের। সূত্রের খবর, সাংসদ, মন্ত্রী মিলিয়ে মোট ছ’জনের দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। সেই দলে থাকবেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, যাদবপুরের সাংসদ তথা তৃণমূল যুবর সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, কুণাল ঘোষ এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা।

