উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ (Shahbaz Sharif) সোমবার ফের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবিকে সমর্থন করল। শাহবাজ বলেছেন, আমেরিকান প্রসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত ঠেকিয়েছেন।
গাজা শান্তি সম্মেলনে (Gaza Peace Conference) বক্তৃতা দেওয়ার সময় শাহবাজ ট্রাম্পকে শান্তির মানুষ বলে উল্লেখ করে তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিকে সমর্থন করেন।
এদিন ওই শান্তি সন্মেলনে ট্রাম্প তাঁর ভাষণের মাঝামাঝি সময় শরিফকে গাজা যুদ্ধ পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ব নেতাদের সামনে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প শাহবাজকে বলেন, অন্যদিন আপনি আমাকে যা বলেছিলেন তা এখানে বলুন।
ওই সময় শরিফ তাঁর বক্তব্যে যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি ট্রাম্পকে সকলের সামনে শান্তির মানুষ বলে অভিহিত করেন। এছাড়াও শাহবাজ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের দাবিকে সমর্থন করে বলেন, এই সম্মানের জন্য ট্রাম্প সবচেয়ে প্রকৃত এবং দুর্দান্ত প্রার্থী।
শাহবাজ তাঁর ৫ মিনিটের বক্তৃতায়, ভারত (INDIA) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে পারমাণবিক সংঘাত রোধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, এই ভদ্রলোক জানেন ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি তিনি চার দিনের মধ্যে ওই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে যুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারত যে যেখানে যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু বলার জন্য কেউ বেঁচে থাকত না।
এছাড়াও শাহবাজ মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কৃতিত্ব দেন।
১০ মে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন যে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে।
কিন্তু ভারত ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) এর মধ্যে সরাসরি আলোচনার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে শত্রুতা বন্ধের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
লোহিত সাগরের শারম এল-শেখের রিসোর্টে মিশর আয়োজিত ওই সম্মেলনে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ সহ প্রায় তিন ডজন দেশ প্রতিনিধিত্ব করেছিল।
ট্রাম্প, আল-সিসি, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান এবং কাতারি আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি একটি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। যা ট্রাম্প বলেছিলেন যে গাজার ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি করবে। তবে, এটির অনুলিপি প্রকাশ করা হয়নি।

