ওয়াশিংটন: ইয়েমেনে (Yemen) হুথি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করেছে মার্কিন বায়ুসেনা। কিন্তু সেই অভিযান শুরু হওয়ার আগেই হামলার খুঁটিনাটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। কারণ খুঁজতে গিয়ে যা জানা গিয়েছে তাতে চরম অস্বস্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে খোদ ট্রাম্পকে (Donald Trump)। তিনি অবশ্য ‘আমি কিছু জানি না’ বলে গোটা ঘটনার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব এবং শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ইয়েমেন অভিযান নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। ভুলবশত ওই গ্রুপে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদককে যুক্ত করা হয়েছিল। ফলে যুদ্ধ পরিকল্পনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দ্য আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদক জেফ্রি গোল্ডবার্গের কাছে ফাঁস হয়ে যায়। সেই খবর পত্রিকায় প্রকাশ করেন তিনি।
জেফ্রি জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। সেই হামলার দু’ঘণ্টা আগে সামরিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল অস্ত্রের তালিকা, লক্ষ্যবস্তু ও সময় সংক্রান্ত তথ্য। জেফ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৫ মার্চ দুপুর ২টোর কিছুক্ষণ আগে বিশ্ব জানতে পারে যে আমেরিকা ইয়েমেনে হুথিদের ওপর বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। কিন্তু প্রথম বোমা ফেলার দু’ঘণ্টা আগেই আমি জানতে পেরেছিলাম যে আক্রমণ হতে চলেছে। এর কারণ, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে আমাকে যুদ্ধ পরিকল্পনাটি টেক্সট করেন। পরিকল্পনায় অস্ত্রের প্যাকেজ, লক্ষ্যবস্তু এবং সময় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল।’
সাংবাদিকের দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় সরকারের অন্দরে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্তেই হোয়াটসঅ্যাপ ভ্রান্তির কথা জানা গিয়েছে। জেফ্রির দাবি ঠিক ছিল বলে মেনে নিয়েছেন ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশসচিব মার্কো রুবিও, সিআইএ-র ডিরেক্টর জন র্যাটক্লিফ, গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তুলসী গাবার্ড, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের শীর্ষকর্তারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।