নাগরাকাটাঃ সংস্কৃতির অঙ্গণে জলপাইগুড়ির মান বাড়াল দুই কন্যা। দশম শ্রেণীর ছাত্রী অদ্রিজা ঘোষ ও কৃষিতা রায় লস্কর সেন্টার ফর কালচার রিসোর্স অ্যান্ড ট্রেনিং (সিসিআরটি) এর বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এই খবরে এখন খুশির হাওয়া জেলার সাংস্কৃতিক মহলে। উচ্ছ্বসিত প্রশাসনের কর্তারাও। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক লেন্ডুপ ছোদেন শেরপা বলেন, জলপাইগুড়িতে যে প্রতিভার অন্ত নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হল। অত্যন্ত আনন্দের একটি মূহুর্ত। ওঁদের দুজনের প্রতিই শুভেচ্ছা রইল।
অদ্রিজাদের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়ায়। সে হলি চাইল্ড স্কুলের ছাত্রী। ভারতনট্টম নৃত্যে কেন্দ্রের ওই বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়। সমগ্র শিক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত গত জানুয়ারির কলা উৎসবে রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ধ্রুবদী নৃত্যের ইভেন্টে প্রথম হয়ে অদ্রিজা ভুবনেশ্বরে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়ে আসে। ওই ছাত্রীর বাবা আনন্দ ঘোষ ব্যবসায়ী। মা সোমা গৃহবধূ। তাঁরা দুজনেই মেয়ের সাফল্যে খুশি। অদ্রিজার নৃত্য গুরু অমল ছেত্রী বলেন, মেয়েটির নাচের প্রতি প্যাশনই ওঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
অন্যদিকে ওডিশি নৃত্যে ওই বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া ময়নাগুড়ির সাপ্টিবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লস্কর পাড়ার কৃষিতা ময়নাগুড়ি গার্লস হাই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাঁর বাবা মানস কুমার রায় লস্করও ব্যবসা করেন। মা চামেলি গৃহবধূ। ওই দম্পতিও কন্যার সাফল্যে উচ্ছসিত। কৃষিতা জলপাইগুড়ির পম্পি পালের কাছে নাচ শেখে। ওই নৃত্যগুরু বলছেন, নিষ্ঠা থাকলে সাফল্য যে ধরা দিতে বাধ্য তা কৃষিতার মাধ্যমে ফের প্রমাণিত। অন্যরাও তাকে দেখে উদ্ধুদ্ধ হবে বলে আশা করি। সমগ্র শিক্ষা মিশনের পেডাগোজি কো-অর্ডিনেটার রাজা দত্ত বলেন, কলা উৎসবের লক্ষ্যই হল প্রতিভার অন্বেষণ। অদ্রিজাদের মতো মেয়েরা যেভাবে এগিয়ে আসছে তা দেখে খুব ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য ওই বৃত্তি পাওয়ার জন্য দুজনেকই পরীক্ষায় বসতে হয়। গোটা দেশ থেকে সামান্য কিছু ছেলেমেয়েদেরই পারদর্শিতার নিরিখে বেঁছে নেওয়া হয়। আগামী ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁদের নাচ শেখার জন্য কেন্দ্রের ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। অংশ নিতে পারবে বিভিন্ন কর্মশালায়।