উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পুনের (Pune) পোর্শে কাণ্ডে এবার গ্রেপ্তার হলেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। অভিযুক্ত নাবালক চালককে নির্দোষ প্রমাণ করতে রক্তের নমুনাই বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও এক চিকিৎসককেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই নাবালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না তা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রিপোর্টে দেখা যায়, ওই নাবালকের শরীরে মদ খাওয়ার বা নেশার কোনও চিহ্ন নেই। তারপর পুলিশের সন্দেহ হলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্টে ধরা পড়ে ওই নাবালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পরীক্ষার পর ওই নাবালকের রক্তের নমুনা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর মদ খাননি এমন একজনের সঙ্গে ওই নাবালকের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান সহ আরও এক চিকিৎসক। তারপরই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৯ মে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর একটি বাইকে ধাক্কা মারে ওই নাবালক। ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই বাইক আরোহীর। কিন্তু অভিযুক্ত নাবালক ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক শর্তে জামিনে মুক্তি পেলেই শুরু হয় প্রতিবাদ। তবে বর্তমানে সেই জামিন বাতিল হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্তের ধনকুবের বাবা ও দাদু।