অনসূয়া চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িকে গর্বিত করল দুই কিশোরী (Jalpaiguri)। নাচ শেখার জন্য ভারত সরকারের স্কলারশিপ পেল ওরা। স্কলারশিপ দেবে সেন্টার ফর কালচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেনিং। নাচ-গান, ছবি আঁকা, তবলা বাজানো ইত্যাদি বিভাগে ভারত সরকার এই স্কলারশিপটি দিয়ে থাকে। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের ১৫৫ জন এই স্কলারশিপের জন্যে পরীক্ষা দিয়েছিল। স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হয়েছে ১০৪ জন।
১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বৈশালী ও রাজন্যা মাসে মাসে স্কলারশিপ পাবে। স্কলারশিপের অর্থের একাংশ গুরুর জন্য বরাদ্দ। বাকি অর্থ স্কলারশিপ প্রাপকদের। সেন্টার ফর কালচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ১০ থেকে ১৬ বছরের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিতে পারে৷ ২০২৫ সালের স্কলারশিপের জন্য প্রতিভা বাছাইয়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ১৪ মে।
লোকনৃত্য বিভাগে জলপাইগুড়ির পশ্চিম কংগ্রেসপাড়ার বৈশালী এবং ওডিশি নৃত্য বিভাগে নিউটাউনপাড়ার রাজন্যা ঠাকুর ওই স্কলারশিপ পেয়েছে। তিন বছর বয়স থেকে বৈশালী লোকনৃত্য শিখছে। রাজন্যা শিখছে ৬ বছর বয়স থেকে। জলপাইগুড়ি শহরের সুনীতিবালা সদর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৈশালী। বাবা বিপ্লব মজুমদার ব্যবসায়ী, মা শম্পা মজুমদার গৃহবধূ।
স্কলারশিপ পেয়ে খুশি বৈশালীর কথায়, ‘নাচের স্কুলে প্রথম দিনের কথা মনে পড়ছে। তখন ভাবিনি নাচই আমার প্রাণ হয়ে উঠবে। নাচ শিখি মা-বাবার প্রেরণায়। গুরু ক্যামেলিয়া রায়ের প্রভূত অবদান রয়েছে৷ ভবিষ্যতে আরও এগোতে চাই।’ বৈশালীর শিক্ষাগুরু নৃত্যশিল্পী ক্যামেলিয়ার কথায়, ‘ওর ভিতর শেখার জেদ রয়েছে। অনুশীলন করতে কখনও ক্লান্ত বোধ করে না।’
জলপাইগুড়ি শহরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাজন্যার বাবা বিশ্বরূপ ঠাকুর এবং মা বনশ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৈশাখীর মতো রাজন্যারও লক্ষ্য, পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ নিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়া। রাজন্যা বলে, ‘আমার সাফল্যের পিছনে বাবা-মা ছাড়াও গুরু দেবদত্তা লাহিড়ির অবদান অনস্বীকার্য।’ দেবদত্তার কথায়, ‘নাচের প্রতি রাজন্যার প্যাশন ওকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’