উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ডিভিসি-র বোর্ড এবং ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক। ডিভিসি বোর্ড থেকে সরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু। ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের প্রতিনিধি তথা সেচ দপ্তরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার। ডিভিসি ছাড়াও জল কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিটি গঠিত। ডিভিসি-র চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব বলেছেন, ‘দুই জলাধার থেকে ডিভিসি অনিয়ন্ত্রিতভাবে যে জল ছেড়েছে, তার ফলে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ কষ্টভোগ করছেন। এই পদক্ষেপ অভূতপূর্ব। এর প্রতিবাদে আমি ডিভিসি-র বোর্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গের সদস্য হিসাবে ইস্তফা দিচ্ছি।’ বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব হওয়ার পাশাপাশি শান্তনু তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরেরও সচিব। যে দপ্তরের মন্ত্রী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হয়েছিল। এর জেরে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে জল বেড়ে যায়। ডিভিসি জল ছাড়ার পরেই প্লাবিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত বুধবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রথম থেকেই ডিভিসিকে দায়ী করে এসেছেন। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাঁধের জল ছেড়ে বাংলায় বন্যা তৈরি করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। একে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে অভিহিত করে মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বন্যা পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি দেন তিনি। শনিবার তিনি এ বিষয়ে মোদিকে দ্বিতীয় চিঠিটি লেখেন। জানান, তিনি কেন্দ্রের আচরণের প্রতিবাদে দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিভিআরআরসি) থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এবার সেই আবহেই ডিভিসি-র বোর্ড এবং ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক।
