প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করলেও, সারাদেশ জুড়ে ১৬০ টি অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ লোকসভা আসনে কী করে সায়ত্তশাসন ফিরে পাওয়া যায়, ওড়ানো যায় গেরুয়া পতাকা, তা নিয়ে আলাদা করে চর্চা শুরু করেছে শাসক দল বিজেপি। এই ১৬০ টি আসন দখল করতে এবার নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ১৬০ টি আসন ৪০ জন মন্ত্রীর মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে দাবি। অর্থাৎ মাথাপিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ৪ টি করে দূর্বলতম লোকসভা আসন ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী শাহ ক্যাম্প। মন্ত্রীদের কাজ হবে এই ৪টি আসনে যেভাবে হোক আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ শতকরা ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, বিজেপির আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় আগেই উঠে এসেছে একটি তথ্য যেখানে দেশের সর্বত্র ১৬০টি লোকসভা আসনে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ বলে মনে করা হচ্ছে৷ ২০১৯ এর নির্বাচনে এ সব আসনে হয় বিজেপি হেরেছে, না হয় অল্পের জন্য মুখরক্ষায় সক্ষম হয়েছে। এই লোকসভা আসনগুলিতে দলের ভিত্তি মজবুত করতে গেলে দ্রুত কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা নিয়েই দলের সদর দফতরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, শলা পরামর্শে বসছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ নয়াদিল্লিতে বিজেপি সূত্রের দাবি, এই মর্মেই এক একজন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকে একদিকে যেমন পরামর্শ গ্রহণ করছেন বিজেপি সভাপতি অন্যদিকে তাদের সবাইকে কয়েকটি আসনে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জরুরি কর্তব্যও স্থির করে দিচ্ছেন তিনি নিজেই৷ পুরো বিষয়টিই করা হচ্ছে পারস্পরিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে৷ এই প্রসঙ্গেই দলীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে প্রত্যেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মাথাপিছু চারটি করে দুর্বল লোকসভা আসনের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার কাজে লাগানো হবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জে পি নাড্ডা৷ এই চারটি নির্দেশিত আসনে দিনের পর দিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের, জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের কাজ করতে হবে, সর্বোপরি দলের জয়ের জমি তৈরি করতে হবে, একান্ত আলাপচারিতায় প্রত্যেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা, দাবি দলীয় সূত্রের৷
উল্লেখ্য, এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে শুরু হয়েছে বিশেষ তৎপরতা, ফলত: বিজেপির সদর কার্যালয়ে দেখা দিয়েছে সাজো সাজো রব। প্রায় প্রতিদিন সেখানে হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ভিড়। এদিকে ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। এমন সময়ে বেশির ভাগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই হয় ব্যস্ত থাকেন তাদের নিজ নিজ মন্ত্রকের কাজে, তা না হলে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের কোনও কর্মসূচিতে৷ কিন্তু রাজধানী দিল্লির প্রচলিত এই ছবি পালটেছে। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অনেককেই দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে গিয়ে সর্বভাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বসে থেকে আলোচনা করতে৷ গভীর রাত পর্যন্ত চলছে সেই আলোচনা৷ নয়াদিল্লিতে বিজেপি সূত্রের দাবি, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল লোকসভা আসন গুলিতে বাড়তি নজর দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কোন কোন কাজ করতে হবে সেসবই তাদের হাতে কলমে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ জানানো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশেই হচ্ছে এই কাজ৷ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে ইতিমধ্যেই তাদের করণীয় কর্তব্য বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি, এমনই দাবি জানানো হয়েছে দলীয় সূত্রে৷
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির (Siliguri) সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrishna mission) হামলার ঘটনায় শীঘ্রই আন্দোলনে নামছে বিজেপি…
শিলিগুড়ি: শাশুড়ি ভর্তি নার্সিংহোমে। কাজের সূত্রে ছেলে থাকে দিল্লিতে। সেই সুযোগে ৩৪ বছর বয়সি পুত্রবধূকে…
শিলিগুড়িঃ মদন তামাংয়ের হত্যার ১৪ বছর পরেও দোষিরা শাস্তি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্ত্রী ভারতী তামাং।…
নাগরাকাটা: দাঁতালের হানা (Elephant attack)। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন যুবক। তবে পালাতে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে…
চোপড়াঃ নদী থেকে বালি তোলার যন্ত্রাংশ ও কয়েকটি বালি বোঝাই গাড়ি আটক করল চোপড়া থানার…
শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (NBU)-র গবেষক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। অভিযুক্ত অধ্যাপক সিদ্ধার্থ…
This website uses cookies.