শিলিগুড়ি: মাদক পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে চারদিন আটকে রেখে লঘু ধারা দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে নিউ জলপাইগুড়ি থানার দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে ক্লোজ করলেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী। সোমবার বিকেলে একটি নির্দেশিকা জারি করে এক সাব ইনস্পেক্টর এবং একজন সহকারি ইনস্পেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অন্দরে হইচই পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যই প্রবেশনারি পিরিয়ড শেষ করেছেন ওই দুজন পুলিশকর্মী। সাব ইনস্পেক্টর নিউটন বিশ্বাস এবং সহকারি সাব ইনস্পেক্টর সজল রায়কে দ্রুত পুলিশ লাইনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে শিলিগুড়ির কোনও পুলিশ কর্তাই মন্তব্য করতে চাননি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী ফোনে সবটা শোনার পর বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’
কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে শিলিগুড়িতে পাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিল কয়েকজন। এনজেপি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মাদক সমেত হাতেনাতে ধরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এখন মাদক সমেত কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে আগে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দিতে হবে। তাঁর উপস্থিতিতে ভিডিও রেকর্ডিং করে মাদকের প্যাকেট বা ব্যাগ খুলতে হবে। অভিযোগ, অভিযুক্তদের ধরে কাউকে কিছু না জানিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুরো বিষয়টি গোপন রেখে চারদিন আটক করে থানাতেই রাখা হয় অভিযুক্তদের। এরপর লঘু ধারা দিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার অভিযোগ যায় শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে। এরপরেই ডিসি (সদর)-র দপ্তরকে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। সেইমতো তদন্ত হওয়ার পর পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়। রিপোর্টের ভিত্তিতেই দুজনকে ক্লোজ করা হয়েছে।