অন্ধ্রপ্রদেশ: ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এই দেশে এমন অনেক কিছু রয়েছে, যেগুলির বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা নেই। বিশেষ করে নানা মন্দিরের পৌরাণিক কাহিনি ও অবস্থান, স্থাপত্যে নিয়ে| ইতিহাসের দেশ ভারতবর্ষ। আর সেই ছোঁয়া এসে পড়েছে অন্ধ্রতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার একটি গ্রাম, লেপাক্ষী। বেঙ্গালুরু থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লেপাক্ষী মন্দির। অধ্যায়েরইএকটি অংশ হল লেপাক্ষীর বীরভদ্র মন্দির। লেপাক্ষী মন্দির, যা বীরভদ্র মন্দির নামেও পরিচিত।
লেপাক্ষী মন্দির নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। এবিষ্ময়কর মন্দির নিয়ে কিছু অজানা তথ্য রয়েছে, যা সকলের জানা দরকার…
– ভগবান বীরভদ্রকে উৎসর্গ মন্দির, লেপাক্ষী মন্দির হল কালজয়ী শিল্পের প্রদর্শনী। মন্দিরের বেশিরভাগ অংশ কুরমাসাইলম নিচু, পাথুরে পাহাড়ে নির্মিত – পাহাড়ের আকৃতি দ্বারা অনুপ্রাণিত।
– মন্দিরের চারপাশে বিজয়নগর রাজ্যের গৌরব আবিষ্কার করতে পারবেন। মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা আছে সঙ্গীতজ্ঞ ও সাধুদের ছবি। আপনি গণেশের মূর্তি, মাতা পার্বতীর মূর্তি এবং ভগবান শিবের সুন্দর নৃত্য দেখতে পাবেন। একটি গুহা কক্ষও রয়েছে যেখানে ঋষি অগস্ত্য থাকতেন বলে জানা যায়। এই বীরভদ্র মন্দিরে ৭০টি স্তম্ভ রয়েছে।
– মন্দিরের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি ঝুলন্ত স্তম্ভ। মূল মন্দিরের বাইরের অংশেই রয়েছে নাটমন্দির। এখানেই আমাদের প্রধান আকর্ষণের অবস্থান। ঢুকলেই প্রথমে নজর কাড়বে সুবিশাল ৭০টি থামের কারুকাজ। ঘুরতে ঘুরতে চোখ থামবে একটি বিশেষ থামের দিকে। ঝুলন্ত স্তম্ভ। নাটমন্দিরের একটু কোণের দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি। ঠিক নিচের একটু জায়গা একেবারে ফাঁকা! স্থানীয় কিংবদন্তি বলে, লেপাক্ষীর বীরভদ্র মন্দিরের এই বিশেষ থামটির ভেতরেই নাকি এখানকার যাবতীয় রহস্য লুকিয়ে আছে!…
লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/uttarbangasambadofficial