উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (Harvard University) আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের ভর্তি বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিল ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্জিতে সাড়া দিয়ে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল আমেরিকার আদালত। শুক্রবার মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বস্টন ফেডারেল আদালতে মামলা করে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনের পরিপন্থী বলে জানানো হয়। বর্তমানে হাভার্ডে ৭০০০ এর বেশি গবেষক ও পড়ুয়া রয়েছে। যাদের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। হাভার্ড জানায়, এক কলমের খোঁচায় হাভার্ডের মোট ছাত্রের ১ চতুর্থাংশ যারা বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে তাদের মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। ৩৮৯ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠানটির তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক ছাত্র ছাড়া হাভার্ড কখনই হাভার্ড হতে পারে না। শেষ পর্যন্ত মার্কিন জেলা বিচারক অ্যালিসন বুরোস, এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে হাভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন বাতিল করার ঘোষণা দেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম। তিনি বলেন, ‘হার্ভার্ডের ইহুদি-বিদ্বেষ এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সমন্বয় সাধনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ নোয়েম বলেছেন ‘ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করতে হাভার্ডের ব্যর্থতার কারণে ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রতিকূল শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
হাভার্ড তাদের চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৬,৮০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে, যা মোট ভর্তির ২৭%। হাভার্ড বলেছে, যে সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার ছাত্র ভর্তি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের মাত্র কয়েক দিন আগে অসংখ্য অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম, ক্লিনিক, কোর্স এবং গবেষণা বানচাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।