উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চা খাওয়া শেষ হলেই টি-ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। সচরাচর একবার ব্যবহার করা টি-ব্যাগ ফেলেই দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবহৃত টি-ব্যাগ কতরকম কাজে লাগতে পারে? জানেন কি?
ক্লান্তি তাড়াতে:
চা খাওয়া হয়ে গেলে টি-ব্যাগ ফেলে না দিয়ে গোটা দু’য়েক টি-ব্যাগ রেফ্রিজারেটরে তুলে রাখুন। অফিস থেকে ফিরে খুব ক্লান্ত লাগলে চোখের উপর ঠান্ডা টি-ব্যাগ দু’টো আলতো করে রাখুন। চোখের ক্লান্তি, ফোলাভাব এতে দূর হবে।
কাটা-ছেঁড়ায় অ্যান্টিসেপটিক:
দাড়ি কাটতে গিয়ে অনেকসময় গাল কেটে-ছড়ে যায়। এক্ষেত্রে কোনও কৃত্রিম অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার না করে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ কাজে লাগানো যেতে পারে। ফ্রিজে রাখা টি-ব্যাগ কেটে যাওয়া চামড়ার উপর চেপে ধরে রাখলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। জ্বালাভাবও কমবে। চায়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।
ব্রণর সমস্যা মেটাতে:
ব্রণর সমস্যায় জেরবার হতে হয় বয়ঃসন্ধিতে পা রাখা ছেলেমেয়েদের। নানা ধরনের ক্রিম থেকে শুরু করে ঘরোয়া হাজারো টোটকাতেও সমস্যার সমাধান মেলে না। ব্রণ তাড়াতেও টি-ব্যাগ খুব কাজে লাগতে পারে। তবে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে তবেই ব্রণর উপর টি-ব্যাগ ঘষতে হবে। চায়ের উপাদানেই সারবে ব্রণ। এক্ষেত্রে গ্রিন টি-ব্যাগ হওয়াই শ্রেয়।
দুর্গন্ধ তাড়াতে:
টি-ব্যাগ যে কোনও রকম গন্ধ তাড়াতে পারে। রান্নাঘরের মাছ বা রসুনের কড়া গন্ধ তাড়াতে টি-ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া রেফ্রিজারেটরের দুর্গন্ধ কাটাতেও ব্যবহার করা টি-ব্যাগ রাখলে কাজ হয়। অনেকে ঘরে সিগারেটের গন্ধ কাটাতে অ্যাশট্রেতেও টি-ব্যাগ রেখে দেন। দু’একফোঁটা পছন্দের সুগন্ধি টি-ব্যাগে দিলে চমৎকার রুম ফ্রেশনারের কাজ করে।
বাসন ঝকঝকে করতে:
টি-ব্যাগ দিয়ে বাসনকোসন বেশ ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। বিশেষত সাবানে যাঁদের অ্যালার্জি আছে তারা হাতে সাবান না লাগিয়ে, টি-ব্যাগ দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। কাঁচের গ্লাসের দাগ মুছে ফেলতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
বাগানের পরিচর্যায়:
যাঁদের বাগানের শখ আছে, তাঁদের কাছে টি-ব্যাগ আদর্শ। গাছের সার হিসেবে মাটি তৈরিতে টি-ব্যাগ ব্যবহার করেন অনেকেই। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকেও গাছকে বাঁচায় এই টি-ব্যাগ।