ডালখোলা: অধিকারের জন্য প্রশ্ন করা যে নাগরিক সমাজের কর্তব্য তা প্রমাণ করে দিল আলতাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০২ জন বাসিন্দা। মাথা গোঁজার ঘর নেই। ‘দিদিকে বলো’র হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সে কথা বলার পরই ‘বাংলার বাড়ি’ যোজনায় ঘর প্রাপকদের নতুন তালিকায় নাম উঠে গেল রাঙ্গামাটি গ্রামের জায়েদা সহ ১০২ জনের।
উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার করণদিঘি ব্লকের বাসিন্দা জায়দা সহ বেশকিছু জন সরকারি নিয়ম মেনে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করেছিল। পঞ্চায়েতের তরফে সেই আবেদনপত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সমীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বহু যোগ্য আবেদনকারী বাদ পড়েছেন।
আবাস যোজনার তালিকায় বঞ্চিত পরিবারগুলি শেষমেশ দিদিকে বলো হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। তারপর, ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আবেদনকারীদের কাছে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য পাঠানোর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ব্লক অফিসের আধিকারিকরা আবেদনকারীদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। তালিকায় নাম উঠতেই খুশি গৃহহীন পরিবারগুলো।
আলতাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জায়দা, নাসিবুল হক, সজবুল হক, কামরুল হক, রহিম আলিরা বলেন, ‘প্লাস্টিকের ছাউনির নীচে কেউবা টিনের চালায় কোনওরকমে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করি। ঘরের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তালিকায় আমাদের নাম ছিল না। পরে দিদিকে বলার পর ব্লক থেকে আধিকারিকরা এসে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। আবাস যোজনার তালিকায় এবার আমার নাম উঠেছে। কারও কারও প্রথম কিস্তির টাকাও ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, ‘শীঘ্রই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করব।’ আলতাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমিনা বিবি বলেন, ‘যারা ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেছিল। আবাস যোজনার তালিকায় নতুন করে পরিবারের নাম যুক্ত হয়েছে।’